ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

‘নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ কাঙ্খিত উন্নয়নের অপরিহার্য শর্ত’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১৮ পিএম, ৭ মার্চ ২০২৩ মঙ্গলবার

রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বলেছেন, সমাজ, রাষ্ট্র, ও পারিবারিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণ কাঙ্খিত উন্নয়নের অপরিহার্য শর্ত। তিনি জেন্ডার সমতা-ভিত্তিক দেশ গড়তে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ আহবান জানান।    

বুধবার (৮মার্চ) ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ গত এক দশকে আর্থ-সামাজিক খাত ও নারীর ক্ষমতায়নে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

আবদুল হামিদ বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন ও তৃণমূল পর্যন্ত নারীর ক্ষমতায়নের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। নারী শিক্ষা নিশ্চিত করা, নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা, সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন এবং কর্মক্ষেত্র ও রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। 

রাষ্ট্রপতি বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাসহ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পণ করে জেন্ডার সমতা ভিত্তিক দেশ গড়তে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সরকারের নেওয়া বহুমুখী পদক্ষেপের ফলে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগ, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রার সূচকে বাংলাদেশ অগ্রগামী। আর এ সাফল্যের মূলে রয়েছে নারীর উন্নতি ও ক্ষমতায়নে বিপুল বিনিয়োগ।

গত এক দশকে আর্থ-সামাজিক খাত ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র এবং জনজীবনের সব ক্ষেত্রে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারী উন্নয়নের প্রক্রিয়া শুরু করেন। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ও শিশু অধিকার নিশ্চিতকরণে বিবিধ পদক্ষেপ এবং কার্যক্রম গ্রহণ করেন। এ লক্ষ্যে সরকার জেন্ডার সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণ সনদ, বেইজিং প্ল্যাটফরম ফর অ্যাকশনসহ সব আন্তর্জাতিক সনদ অনুসরণে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। 

রাষ্ট্রপতি বলেন, এসবের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ যথার্থ হয়েছে। 

‘শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে আমাদের আরো এগিয়ে যেতে হবে’ উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, সকল উন্নয়ন ও অগ্রগতির অংশীদার হিসেবে সৃজনশীল এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে পুরুষের পাশাপাশি দেশের নারী সমাজ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে। নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠবে সমঅধিকারের একটি বাসযোগ্য পৃথিবী, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এটাই হোক সকলের প্রত্যাশা।

তিনি ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।  

সূত্র: বাসস

এসবি/