পরনির্ভরতার তকমা ছুঁড়ে সক্ষমতার প্রমাণ দিচ্ছেন নারীরা
শিউলি শবনম, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪২ এএম, ৮ মার্চ ২০২৩ বুধবার
অদৃশ্য সামাজিক শৃঙ্খল, আর বিধি-নিষেধের অজস্র পাহাড়। এসব ডিঙিয়েই এগিয়ে চলেছেন দেশের নারীরা। দুর্বল কিংবা পরনির্ভরশীলতার তকমা ছুঁড়ে ফেলে বার বার প্রমাণ দিচ্ছেন নিজেদের মেধা ও সক্ষমতার। বিশ্বমঞ্চেও লিখিয়েছেন দেশের নাম। তারপরও নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি কতোটা পাল্টেছে? সমাজে নারীরা কতোটা পাচ্ছেন সমতার অধিকার? তার খানিকটা তুলে ধরছেন ।
১৯ মে, ২০১২ বিশ্বের সর্বোচ্চ পবর্তশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল পাতায় নাম লেখান দেশের প্রথম পর্বতারোহী নারী নিশাত মজুমদার। ডেথ জোন বা মৃত্যু অঞ্চল হিসেবে পরিচিত হিমালয়ের শৃঙ্গে উড়ান লাল-সবুজ পতাকা।
ভারোত্তোলনে দীর্ঘদিন পুরুষের একক আধিপত্য থাকলেও মাবিয়া আকতার সীমান্ত ভেঙেছেন সে বিভাজনের দেয়াল। এসএ গেমসের দুই আসরে স্বর্ণজয় করে দেশকে বিশ্ব আসরে সম্মানিত করেছেন তিনি।
মাত্র ক’মাস আগেই নেপাল সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে দাপটের সাথে ট্রফি জিতে গোটা দেশকে আনন্দে ভাসিয়েছে নারী ফুটবল দল।
সমাজের প্রচলিত ধারণা গুড়িয়ে দিয়ে নারীরা প্রমাণ করেছেন, যথাযথ পরিচর্যা ও বিকাশের সুযোগ পেলে দক্ষতা, সক্ষমতা ও মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারেন তারাও।
প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে নারীকে আরও এগিয়ে নিতে এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য: ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’। নারীর ক্ষমতায়নে ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা’সহ নানান উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
কিন্তু সমতা অর্জন এখনও বহুদূর বলে মনে করছেন নারী অধিকার কর্মীরা। বলছেন, নারীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে দেখার চোখ এখনো গড়ে ওঠেনি। বাস-ট্রেনে নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করেন বেশিরভাগ নারী।
মানুষ হিসেবে পরিবার বা সমাজে নারী-পুরুষের ভূমিকা কম কিংবা বেশি নয় বরং সমান গুরুত্বপূর্ণ, এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষার্থীদের বইয়ে পাঠের ধরণ পাল্টানোর পরামর্শ উন্নয়ন কর্মীদের।
নারী-পুরুষ উভয়ের চিন্তার উন্নয়ন ঘটানো গেলেই নারীদিবস পালন সার্থক হবে বলে মনে করেন তারা।
এএইচ