রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কেন বার বার আগুন লাগে (ভিডিও)
আবদুল আজিজ, কক্সবাজার থেকে
প্রকাশিত : ১২:১৭ পিএম, ৮ মার্চ ২০২৩ বুধবার
গেল পাঁচ বছরে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগেছে প্রায় ২শ’ বার। ঘর পুড়ে গেছে ১৫ হাজারের বেশি। গৃহহীন হয়েছে ১২ হাজারের বেশি পরিবার। পুড়ে মারা গেছে অন্তত ২০ জন। এভাবে বারবার আগুন লাগাকে রহস্যজক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। নাশকতা তৈরি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ তাদের।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার পর থেকেই ক্যাম্পগুলোতে প্রায়ই লাগছে আগুন। কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের দেয়া তথ্য মতে, গত ৫ বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে ২শ’ বার। সবশেষ গেল ৫ মার্চ উখিয়া ক্যাম্পে লাগা আগুনে পুড়ে যায় ২ হাজারেরও বেশি বসতঘর। ২২ মার্চ আগুনে পুড়ে যায় ১০ হাজারেরও বেশি ঘর; বাস্তুহারা হন ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। এঘটনায় মারা যায় ২ শিশুসহ ১৫ জন।
সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালেই আশ্রয় শিবিরে আগুন লাগে ২২৩ বার। এর মধ্যে ৯৯টি দুঘর্টনাজনিত, ৬০টি নাশকতামূলক আর ৬৩টির কারণ জানা যায়নি।
ঘুরে ফিরে কেন ক্যাম্পগুলোতে আগুন লাগছে? এর কারণই বা কী? সবার মতো এমন প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের।
ক্যাম্পে আগুনের ঘটনা নাশকতা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে আগুনের ঘটনা বেশি ঘটছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে ক্যাম্প, তারপরে বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে দলাদলি রয়েছে। তারা হিসাংত্মক ঘটনাও ঘটাতে পারেন, সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।”
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মনে করেন, রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন এক জায়গায় থাকায় বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক, কউক চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, “পরিবেশ ও ক্লাইমেটের উপর প্রভাব পড়ছে।”
দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে মৌলবাদি সংগঠনগুলো যাতে উসকে দিতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।
এএইচ