ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

আড়াই লাখ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ চট্টগ্রাম মহানগরে (ভিডিও)

হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম থেকে

প্রকাশিত : ১১:৪৯ এএম, ৯ মার্চ ২০২৩ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:১৪ পিএম, ৯ মার্চ ২০২৩ বৃহস্পতিবার

ইমারত বিধিমালার তোয়াক্কা না করেই চট্টগ্রাম মহানগরীতে গড়ে উঠছে দালান-কোঠা। মানা হচ্ছে না মাস্টার প্ল্যানও, ঘটছে দুর্ঘটনা। এজন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ’র উদাসীনতাকেই দুষছেন নগর বিশেষজ্ঞরা। 

সিডিএ’র তথ্য বলছে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রায় আড়াই লাখ ভবন ঝঁকিপূর্ণ। এরমধ্যে স্কুল, হাসপাতালও রয়েছে। নকশা না মেনে এসব ভবন নির্মাণ করায় ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝড়ছে প্রাণ। 

চট্টগ্রাম নাগরিক আন্দোলনের নেতা কামরুল হাসান বাদল বলেন, “অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন হচ্ছে, পাহাড় কাটা হচ্ছে। এসব বিষয় সহ্য করার সময়টা আমরা পেরিয়ে এসেছি। আমরা এখন ধ্বংসের দোরগোড়ায়। যদি সোচ্চার না হই তাহলে এই নগর-বন্দরকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।”

নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মহানগরীতে গড়ে উঠা ৯০ শতাংশ ভবনই নকশা অনুয়ায়ী নির্মিত হয়নি। এছাড়া জলভূমি দখল করেও নির্মাণ করা হয়েছে বহুতল ভবণ। 

সিডিএ সদস্য নগর উন্নন কমিটির সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, “ঢাকা শহর ইতোমধ্যে বিপদজনক সীমা অতিক্রম করেছে, চট্টগ্রাম নগর এখন চূড়ান্ত ধাপে। এখনই যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে ভবিষ্যতে করা খুবই কঠিন হবে।”

রিহ্যাবের অভিযোগ, সিডিএ’র সঠিক তত্ত্বাবধান এবং জবাবদিহিতা না থাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। 

চট্টগ্রাম রিহ্যাব চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ম চৌধুরী বলেন, “৯২-৯৫ শতাংশ বিল্ডিং কোড মেনে আমরা কাজগুলো করছি। কিন্তু অন্যান্য যারা ডেভেলপার আছেন, রিহ্যাবের সদস্য নয় তারা কোনো কিছু মানছেন বলে মনে হয় না।”

প্রভাবশালীদের কাছে অসহায়ত্বের কারণে সিডিএ চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন সিডিএ পরিচালনা পর্ষদের এই সদস্য। 

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, “শহরটাকে বাঁচাতে হলে সবার আগে সিডিএ-কে ঢেলে সাজাতে হবে। দক্ষ ও বিশেষায়িত জনবল নিয়োগ দিতে হবে এবং সিডিএ’র আইন প্রয়োগের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই।”

চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার ভবন। এর মধ্যে ৭৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতাল, ক্লিনিকও রয়েছে। 

এএইচ