‘পাখি ছিলো বাঙালি, বাঙালি শিকারের পরিকল্পনা হয়েছিল’ (ভিডিও)
আদিত্য মামুন, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:২৭ পিএম, ১০ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার
মার্চের শুরু থেকেই বাঙালি নিধনে অপারেশন সার্চলাইটের ষড়যন্ত্র শুরু করেন জেনারেল ইয়াহিয়া ও জুলফিকার আলী ভুট্টো। ভুট্টোর প্রাসাদবাড়িতে দীর্ঘ ৬ ঘন্টার বৈঠকে অপারেশনের সিদ্ধান্ত হয়। সবশেষ ২৪ মার্চ মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক ব্যর্থ হলে গণহত্যা চালিয়ে বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন মুছে দিয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতা পুন:প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল সামরিক জান্তা।
বঙ্গবন্ধুর সাথে বৈঠকের নামে সময় ক্ষেপন করছিলো ইয়াহিয়া। এরইমধ্যে বাঙালি নিধনে অপারেশন সার্চ লাইটের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলে পশ্চিম পাকিস্তানিরা।
মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক পন্ড হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। ভুট্টোর সাথে বৈঠক করে ইয়াহিয়া পশ্চিম পাকিস্তাানে চলে যায়। পাকিস্তানে পা রাখার সাথে সাথেই পূর্ব পাকিস্তানে তৎপর হয়ে ওঠে তার বাহিনী।
"পাখি শিকার করার নাম করে ১৭ তারিখ সকালে তিনটা হেলিকপ্টারে করে ইয়াহিয়া খান ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানরা তারা ফ্লাই করলেন করাচি থেকে, ল্যান্ড করলেন ভুট্টর প্রাসাদ বাড়িতে। পাখি শিকার করা কোনো পরিকল্পনা হয়নি। পাখি ছিলো বাঙালী। বাঙালী শিকারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।" বলেন মুক্তিযোদ্ধা গবেষক বীরপ্রতীক কর্ণেল (অব.) সাজ্জাদ জহির।
পাকিস্তানীরা প্রথমেই বাঙালি সৈন্য ও পুলিশকে নিরস্ত্র করতে চেয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগ নেতা, ছাত্র ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানকে অখন্ড রাখা।
"কাকে গ্রেফতার করা হবে কাকে হত্যা করা হবে এবং কোন কোন বাহিনীকে শেষ করা হবে সবই পরিকল্পনা ছিলো।" বলেন সাজ্জাদ জহির।
পাক হানাদাররা বাঙালি নিধনযজ্ঞ চালায়। রাও ফরমান আলী ঢাকায় এবং সারাদেশে এই হত্যাযজ্ঞের নেতৃত্ব দেন খাদিম হোসেন রাজা।
ঢাকাসহ সারাদেশে দুইভাগে ভাগ হয়ে তারা হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়। শুধু ঢাকাতেই অর্ধলক্ষ বাঙালিকে হত্য করা হয়।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে বন্দি করার আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি ঝাপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিকামী বাঙালি ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে মুক্তির পতাকা।
এসবি/