ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

জুয়েলারি শিল্পে বড় সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ১১ মার্চ ২০২৩ শনিবার

জুয়েলারি শিল্পে বড় সম্ভাবনা দেখছেন এখাতের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, চোরাচালান রোধের পাশাপাশি কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমালে রপ্তানি-ঝুঁড়িতে জায়গা করে নিতে পারে স্বর্ণালংকার। আর এটি সম্ভব হলে কমবে ডলার পাচার। একইসাথে সরকারও পাবে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।  জুয়েলারি-খাতের বিকাশের সুযোগ রয়েছে বলছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীও। 

দেশে বছরে স্বর্ণের চাহিদা প্রায় ৪০ মেট্রিক টন। যা পূরণ হয় ব্যাগেজ রুলস বা ব্যক্তি পর্যায়ে স্বর্ণালংকার আমদানি এবং চোরাচালানের মাধ্যমে। আর পুরোনো গহনা থেকে আসে চাহিদার ১০ শতাংশ। 

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বলছে, অবৈধ স্বর্ণের অলঙ্কার ও বার দেশের জুয়েলারি শিল্পের বড় বাধা। শুল্ক কমিয়ে লাইসেন্সধারী ডিলারদের জন্য আমদানির সুযোগ আরও সহজ করে দেয়ার দাবি সংগঠনটির।

স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, লাগেজের মাধ্যমে সোনা আমদানী বেড়ে গেছে। চোরাচালানে ঝুঁকছেন অনেকে। এতে অবৈধপথে বিপুল পরিমাণ ডলার চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। রাষ্ট্র হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব। 

বিশ^ব্যাপী ভারতীয় স্বর্ণালংকারের বিশেষ চাহিদা রয়েছে। বৈশ্বিক স্বর্ণালঙ্কারের ৯৫ শতাংশ যোগান দেন ভারতীয় কারিগররা। বাংলাদেশ থেকেও স্বর্ণালঙ্কার রপ্তানির বড় সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।  

রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র আনতে জুয়েলারি খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে বলছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

তিনি বলেন, আমি মনেকরি স্বর্ণ আসতে দেওয়া উচিৎ নীতিগতভাবেই যাতে এটাকে ভ্যালু এড করে আমরা প্রয়োজনে রপ্তানি করতে পারি।" 

নীতিমালা হওয়ার পর ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ বৈধতা পেয়েছে বলে জানান জুয়েলার্স সমিতির নেতারা। 

এসবি/