মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর যাচ্ছে তিস্তা চরের মিষ্টি কুমড়া (ভিডিও)
লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর থেকে
প্রকাশিত : ০৫:৫০ পিএম, ১১ মার্চ ২০২৩ শনিবার
তিস্তা চরাঞ্চলের মিষ্টি কুমড়া যাচ্ছে মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুরে। ২০ কোটি টাকার অর্ডার পেয়ে সরাসরি চাষিদের থেকে কিনছে দুটি প্রতিষ্ঠান। লাভবান হচ্ছেন কৃষক।
এককালের মঙ্গাপীড়িত রংপুরের গঙ্গাচড়ার ৯০ শতাংশ এলাকাই তিস্তা নদীবেষ্টিত। দেড় শতাধিক ছোট-বড় চরের ২২টিতে হচ্ছে কুমড়ার চাষ। ছালাপাক চরাঞ্চলের দেড় হাজার হেক্টর জমিতে উৎপাদিত উন্নত জাতের মিষ্টি কুমড়া নজর কেড়েছে সবার।
মিষ্টি কুমড়া চাষিরা জানান, আগে তামাক চাষ করতাম, এখন তা বাদ দিয়ে কুমড়া চাষ করছি। দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
তপ্ত বালুচরে কীটনাশক ছাড়া গোবর সারেই হচ্ছে বিষমুক্ত ব্যাংকক ১ হাইব্রিড কুমড়ার চাষ।
পাম্পিং প্ল্যান প্রকল্প মাঠ কর্মী রোকসানা বিলকিছ বলেন, “ভালো বীজ, পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। কীটনাশক ছাড়া আবাদের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
দুটি দেশি প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় কুমড়া রপ্তানির অর্ডার পেয়েছে।
রংপুর এগ্রো লিমিটেডের সত্ত্বাধিকারী রতন মিয়া বলেন, “আমরা এ পর্যন্ত ২শ’ টন বিদেশে পাঠিয়েছি। আগামী আরও ৪-৫শ’ টন যাবে আশা করছি।”
সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কিনে প্যাকেটজাত করায় কর্মসংস্থান হয়েছে বেশকিছু মানুষের।
স্থানীয় শ্রমিকরা জানান, ভালো করে পরিষ্কার করার পর ওজন করে প্যাকেট করি। গাড়ি এসে এগুলো নিয়ে ঢাকায় যায়। সেখান থেকে বিদেশে পাঠানো হয়।
মিষ্টি কুমড়া রপ্তানি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, বলছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান বলেন, “এই পরিশ্রমের ফসল যখন বিদেশে যাচ্ছে এবং টাকা আসছে তখন কৃষক তো উপকৃত হচ্ছেই দেশও উপকৃত হচ্ছে।”
চাহিদা বাড়তে থাকায় বিষমুক্ত এই কুমড়া উৎপাদনে আগ্রহী আরও অনেক চাষি।
এএইচ