বিএনপির মদদেই অস্ত্র চোরাচালানের অভয়ারণ্য হয় দেশ (ভিডিও)
আশরাফ শুভ, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫৮ এএম, ১২ মার্চ ২০২৩ রবিবার | আপডেট: ১২:৪০ পিএম, ১২ মার্চ ২০২৩ রবিবার
বিএনপি-জামায়াতের যোগসাজশেই ২০০৪ সালে ১০ ট্রাক অস্ত্র আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফাসহ সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোর কাছে যাচ্ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা গগনজিৎ সিং। যার কেন্দ্রে ছিলেন তারেক রহমান। তার মতে, তৎকালীন ওই জোট সরকারের মদদেই অস্ত্র চোরাচালানের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ।
ঢাকায় এসে ১১ ফেব্রুরারি একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দেন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম উলফার সহ-প্রতিষ্ঠাতা অনুপ চেটিয়া। বিএনপি সরকার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের বিষয়ে আগে থেকেই জানতেন বলে খোলাসা করেন তিনি।
একই ইস্যুতে এবার মুখ খুলেছেন ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গগনজিৎ সিং। উলফা নেতার মতো তারও দাবি, বিএনপি-জামায়াতের সহযোগিতায়ই উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্রোহীদের কাছে অস্ত্র যাচ্ছিল।
উলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে মিলে তারেক রহমান পুরো কার্যক্রমটি পরিচালনা করছিলেন বলেও দাবি গগনজিৎ সিংয়ের। জানান, ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তারেকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সহায়তায় ভারতীয় বিদ্রোহী সংগঠনগুলো বাংলাদেশকে অস্ত্র পাচারের রুটে পরিণত করেছিল বলে মন্তব্য তার।
২০০৪ সালের পহেলা এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটিঘাটে খালাসের সময় ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক করে পুলিশ। এই মামলায় ২০১৪ সালে তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত।
এএইচ