ইবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী দুই আসামি গ্রেপ্তার
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:১১ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ০৩:১২ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২৩ বুধবার
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে দুই শিক্ষার্থীকে মারধোরের ঘটনায় এজাহারভূক্ত মূল দুই আসামি আকাশ ও আলীমকে গ্রেপ্তার করেছে শৈলকুপা থানা পুলিশ।
বুধবার (১৫ মার্চ) তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।
তিনি জানান, আজ সকালে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের করা মামলায় তাদের দুজনের নাম ছিল এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনের নামও রয়েছে। গতকালও জাহাঙ্গীর নামে সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বাকীদেরও খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান ওসি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা। ইতিমধ্যে মূল আসামি ২ জনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপাতত বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বাদী হয়ে মারধোরের অভিযোগে শৈলকূপা থানায় আকাশ ও আলীমকে মূল অভিযুক্ত করে অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ইবির দুজন ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সুপ্ত ও জিসাদের উপর অতর্কিত হামলা ও প্রাণনাশের চেষ্টার বিষয়টি উঠে আসে। গত সোমবার বিকালে ইবি লেকে দুইজন বহিরাগত ক্যাম্পাসের নারী শিক্ষার্থীদের ভিডিও ধারণ করলে তাদের বাঁধা দেয় সুপ্ত এবং জিসাদ। মোবাইল থেকে ভিডিও ডিলিট করতে বললে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও তর্কাতর্কির সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে সুপ্ত ও জিসাদকে ক্যাম্পাসের বাইরে দেখে নেয়ারও হুমকি দেয় তারা। পরবর্তীতে ওই দুই শিক্ষার্থী বাইকের তেল ভরতে পাম্পে গেলে সেখানে তারা হামলার শিকার হন। প্রাণ বাঁচাতে ক্যাম্পাস গেটে দৌড়ে আসলে তাদের উদ্ধার করে ইবি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এ ঘটনা জানাজানি হলে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করেন। তারা বহিরাগত মুক্ত ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থী হামলার বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাস সহ তিন দফা দাবি নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
পরে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা, কুষ্টিয়া) ফরহাদ হোসেন অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নিয়ে উপাচার্য বাসভবন ঘেরাও করে স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
এক সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালামের আশ্বাস পেয়ে তারা হলে ফিরে যায়।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করে আদেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকালে ক্যাম্পাস, শেখপাড়া ও শান্তিডাঙ্গা এলাকায় মাইকিং করে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
এসময় ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সবসময় আইডি কার্ড সঙ্গে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এএইচ