ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

হজ প্যাকেজের দাম বাড়ার কারণ জানাল ধর্ম মন্ত্রণালয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০৪ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২৩ বুধবার

হজ প্যাকেজ নিয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত কী, তা জানাতে নির্দেশনার পর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।

বুধবার সকালে প্রতিবেদনটি বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়।

প্রতিবেদনে ডলারের দাম ও বিমান ভাড়া বৃদ্ধি, বাসা ভাড়া এবং মোয়াল্লেম ফি বাড়ায় হজ প্যাকেজের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ‘যেভাবে বলা হচ্ছে যে, হজের খরচ বাড়ানো হয়েছে, আসলে সেটি নয়, বরং সরকারি এবং বেসরকারিভাবে সমন্বয় করে খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ অংশে যে ব্যয়, তার পরিমাণ আড়াই লাখ টাকা আর সৌদি অংশের ব্যয় সাড়ে চার লাখ টাকা। ফলে সৌদি অংশে যে ব্যয়, সেখানে সরকারের কিছু করার থাকে না। এটা কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবেই সমন্বয় করতে হয়। এছাড়া বাংলাদেশ অংশে যে আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে, সেখানে বিমান ভাড়া বেড়েছে, ডলারের মূল্য বেড়েছে, আবার সৌদি আরবের বাসা ভাড়া এবং মোয়াল্লেম ফি সেটাও বেড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতবারের চেয়ে এবার দুই লাখ টাকার মতো বেড়েছে, সেটা এসব কারণে বাড়ানো হয়েছে। যেহেতু এখানে দুটি দেশের সমন্বয় করা হয়েছে, সুতরাং বাংলাদেশ সরকার চাইলে এককভাবে এটা কমানো বা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। মন্ত্রণালয় এমনটি জানিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে। সেটি এখন আমরা আদালতে উপস্থাপন করব। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে অংশ নেবেন।’

এদিকে গত মঙ্গলবার এই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বলেছে, ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করে হজের প্যাকেজ ঘোষণা অমানবিক।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গাজী মো. মহসীন, অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ জামান খান, অ্যাডভোকেট আহসান উল্লাহসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।

টাকা কমিয়ে পুনরায় প্যাকেজ ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে গত ১২ মার্চ রিট করেন হাইকোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান। রিটে ধর্ম সচিব, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে ৬ মার্চ হজের প্যাকেজ মূল্য সংশোধন করে চার লাখ টাকা নির্ধারণ করতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আল কোরআন স্টাডি সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ জামান ধর্ম মন্ত্রণালয়কে এ নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় রিট করেন তিনি।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। অন্যদিকে কোরবানি ছাড়াই এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। আগের বছর এটি ছিল পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে এ বছর বেড়েছে দেড় লাখ টাকা।

এমএম/