বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৪ পিএম, ১৬ মার্চ ২০২৩ বৃহস্পতিবার
শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। এ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টুঙ্গিপাড়া আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এদিন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় আসবেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অব অনার দেবে। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর টুঙ্গিপাড়া থেকে রাষ্ট্রপতি ফিরে এলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত শিশু সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’।
এছাড়া টুঙ্গিপাড়ায় দিবসটি উদযাপনে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শিশু প্রতিনিধির বক্তব্য, বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকারবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, কাব্যনৃত্যগীতি আলেখ্যানুষ্ঠান এবং বই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান এবং গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ করবেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স এলাকাজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, শোভাবর্ধণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শিশু সমাবেশের মঞ্চ এবং বই মেলা আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। টুঙ্গিপাড়াসহ পুরো জেলায় সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির টুঙ্গিপাড়ায় আগমনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।’
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম জানান, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়াসহ জেলায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিন বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, কমিউনিটি রেডিও এবং এফএম রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। এ ছাড়া রয়েছে শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন হবে। দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
এমএম/