ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন শেখ মুজিব
ড. অখিল পোদ্দার
প্রকাশিত : ০৪:৪৩ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২৩ শনিবার | আপডেট: ০৪:৪৯ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২৩ শনিবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের বেতন ছিল ১১ থেকে ১৪ টাকা। এতে না হতো খাওয়াদাওয়া, না মিলতো বাসস্থান, না হতো সুচিকিৎসা। চাকরির শুরুতে অধিকাংশ কর্মচারীই পেতেন না নিয়োগপত্র। চাকরি স্থায়ী হতো না সহজে। আবার চাকরিচ্যুতির হুমকিও ছিল। পেশাগত আন্দোলন তাই আস্তে আস্তে প্রকট হয়েছিল।
কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে দেনদরবার চালানোর পরও কোনো সুরাহা মিলছিল না। সুতরাং ১৯৪৯ সালের ৩ মার্চ থেকে লাগাতার ধর্মঘটে চলে যায় কর্মচারীরা। বাধ্য হয়ে ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা হয়। আন্দোলন দমাতে ২৭ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করে কর্তৃপক্ষ। ৬ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছরের জন্য এবং ১৫ জনকে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করে।
শেখ মুজিবসহ ৫ জনকে ১৫ রুপি জরিমানা ধার্য করে ছাত্রত্ব ফিরে পাওয়ার প্রস্তাব দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শেখ মুজিব তা প্রত্যাখান করেন। ২০ এপ্রিল কর্মচারীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় শেখ মুজিবকে আবারও গ্রেফতার করে পুলিশ। ছাত্র ও যুবনেতা মুজিব ক্রমশ: অপরিহার্য হয়ে উঠেছিলেন এভাবেই। যদিও ৬১ বছর পর মুজিবের ছাত্রত্ব বাতিলের একটি আদেশ ২০১০ সালে প্রত্যাহার করে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
( ড. অখিল পোদ্দার, প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশন)
email: podderakhil@gmail.com