ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মেয়র তাহের’র দাফন সম্পন্ন 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:২৫ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২৩ রবিবার

লক্ষ্মীপুর (সদর) পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবু তাহের-এর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

রোববার বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ ও পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে জানাযা শেষে পৌর শহরে তারই প্রতিষ্ঠিত মহিউস সুন্নাহ জালালিয়া মাদ্রাসার কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। 

এর আগে তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ-এর সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

চির বিদায়ের আগে জাতীর এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ  আবু সাইয়দ আল-মাহমুদ স্বপন, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামাল, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ। 

উল্লেখ্য, মেয়র আবু তাহের গতকাল (১৮ মার্চ) শনিবার দুপুর পৌনে ২ টার দিকে লক্ষ্মীপুরের নিজ বাসভবন পিংকি প্লাজায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত কয়েক মাস ধরে তিনি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। 

মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুজিববাদী তাহের হিসেবে তিনি ব্যাপক পরিচিত ছিলেন।

তার মেজ ছেলে এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি। তার বড় ছেলে এইচএম বিপ্লব জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১৯৭২-৭৪ সালে জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক, ১৯৭৬ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮০ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৪ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, ১৯৮৭ থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ১৯৯০ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ১৯৯৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে ১৯৯৮ সালে পৌরসভার চেয়ারম্যান ও ২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুজিব আদর্শের এই সৈনিকের মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগ এক শোক বার্তায় ৩ দিনের শোক পালনের পাশাপাশি কালো ব্যাচ ধারণ ও সকল দলীয় কর্মকাণ্ড স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।

এমএম/