ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় চ্যালেঞ্জিং (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৩ এএম, ২১ মার্চ ২০২৩ মঙ্গলবার

একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় চ্যালেঞ্জিং। একই দিন আরেকটি স্বীকৃত দিবস থাকায় জাতিসংঘ ২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণা করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। দাপ্তরিক ঘোষণা না হলেও বিশ্বের সব দেশের সমর্থন আদায়ে কাজ করছে সরকার। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের সমর্থন পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর।

বিশ্বের আনাচে-কানাচ থেমে নেই গণহত্যা। মানুষের নিরাপত্তা নেই। মানবাধিকার, ন্যায়বিচার তো বহু দূরের বিষয়। 

গণহত্যায় ভুক্তভোগীদের কান্নার আওয়াজ কিংবা কষ্টের সব গল্প বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছায় না। তবে মানুষ ভুলে যায়নি, যুগোস্লাভিয়া, রুয়ান্ডা, বাংলাদেশ কিংবা মিয়ানমারের গণহত্যার কথা।

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে “একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি” শিরোনামে গবেষকরা বলেন, একাত্তরের গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়ে সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর আরও উচ্চকিত করতে হবে। 

বাংলাদেশে একাত্তরের গণহত্যায় ভূরাজনীতি যেমন ছিলো, তেমনি পরাশক্তিগুলোর ছিলো নিজস্ব এজেন্ডা। প্রত্যেকটি গণহত্যার গল্প পুঙ্খানুপুঙ্খু পৌঁছতে হবে বিশ্ববাসীর কাছে। 

পরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানালেন, একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতির বিষয়টি ঠিক কোথায় কি কারণে আটকে আছে। 

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, “সেই সময়ের পলিটিক্যাল কারণে বর্তমান বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল অথবা সক্রিয়ভাবে সমর্থন দেয়নি, অথবা প্রত্যক্ষভাবে পাকিস্তানকে সহায়তা করেছে- তাদের অবস্থানগত অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু পাবলিককি তারা বলেননা। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসরদের কর্মকাণ্ডগুলো জেনোসাইড হিসেবে আখ্যা দেওয়ার বিষয়ে দেশের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনায় আছি।”

জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেতে বিলম্ব হলেও একাত্তরের গণহত্যার বিষয়ে বিশ্ববাসীর অনানুষ্ঠানিক স্বীকৃতি বড় অর্জন বলছেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। 

শাহরিয়ার আলম বলেন, “পর্যায়ক্রমে এটা বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা পাবে। অফিসিয়ালী করতে গেলে যে বাধাটি সেটাকে আমরা পৃথিবীর বড় অংশের সমর্থনের মধ্য দিয়ে পুষিয়ে নিতে চাই।”

এএইচ