ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী সহিংসতায় আ.লীগ কর্মীর মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:১৬ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২৩ শনিবার

চুয়াডাঙ্গায় আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ১৩ দিন পর আহত দবির আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতেই দবিরের মরদেহ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। সমাবেশে অবিলম্বে আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

নিহত দবির আলী (৪০) উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের জহুরুলনগর গ্রামের আত্তাব মন্ডলের ছেলে।

জানা গেছে, নাগদাহ ইউপি নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক জহুরুলনগর গ্রামের আত্তাব মন্ডলের ছেলে দবির উদ্দিন, খবির উদ্দিন, আনিস ও একই গ্রামের ইসলাম লস্করের ছেলে মিয়াসহ বিদ্রোহী প্রার্থীর কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে দবিরের অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়া তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৩ দিন আইসিউতে থাকা অবস্থায় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

এদিকে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে দবিরের লাশ আলমডাঙ্গায় পৌঁছালে শহরের ৭১ স্তম্ভের সামনে নাগদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে বক্তারা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলের নেতৃত্বে তার সমর্থকেরা ১১ মার্চ রাতে হামলা চালিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা অবিলম্বে এ হত্যার সাথে জড়িত সবার গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী হায়াত আলী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইয়ুব হোসেন, দবিরের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান খোকন, ভাই খবির উদ্দিন ও আশিক ইকবাল স্বপন।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলিম বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মারামারিতে আহত দবির উদ্দিন শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেছিল। এর মধ্যে দবিরের ছেলে খোকন ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছিলেন। এখন সেখানে হত্যা মামলার ধারা যুক্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দ্রুত চার্জশিট দাখিল করব। এদিকে রাতেই জহুরুলনগর গ্রামে জানাজা শেষে দবিরের লাশ দাফন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত নাগদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

এমএম/