দেশে খাদ্যপণ্যের মজুদ যথেষ্টর চেয়েও বেশি, দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫৪ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২৩ শনিবার | আপডেট: ১০:৫৫ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২৩ শনিবার
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে খাদ্যপণ্যের মজুদ যথেষ্টর চেয়েও বেশি, দাম বৃদ্ধির কোন যৌক্তিক কারণ নেই।
আজ রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে রমজানে দেশে পণ্যের যথেষ্ট মজুদ থাকার পরেও যারা দাম বাড়াচ্ছে, তাদেরকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে কিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে রমজান কিংবা কোনো উৎসব-পার্বণ আসলে আমাদের দেশের কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা করার জন্য পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশে রমজানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমদানি-নির্ভর পণ্য থেকে শুরু করে উৎপাদননির্ভর পণ্যসহ সমস্ত পণ্যের সরবরাহ যাতে ঠিক থাকে সে ব্যবস্থা করেছেন। ফলে খাদ্যপণ্যের মজুদ এখন শুধু যথেষ্টই নয় বরং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি এবং রমজানে দামবৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের খাদ্যনীতিতে বলা আছে, দেশে যদি ১০ লাখ টন খাদ্যপণ্য মজুদ থাকে তাহলে সেটি নিরাপদ। কিন্তু বর্তমানে ২০ লাখ টনের চেয়ে বেশি খাদ্যশস্য চাল, গম এবং ভোগ্যপণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে, কোনো কোনো পণ্য রমজানের চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত মজুদ রয়েছে।’
এরপরেও দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, মজুতদাররা এই রমজানের সুযোগ নিয়ে পণ্যের মূল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে উল্লেখ করে হুঁশিয়ারি দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি যারা করবে তারা আসলে গণবিরোধী কাজে লিপ্ত হবে। এদের বিরুদ্ধে সরকার ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং প্রয়োজনে শাস্তির বিধান রাখা হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যে সক্রিয় হয়েছে এটা আপনারা দেখেছেন। বাজার মনিটর করা হচ্ছে। এটি খুব সহসা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত করা হবে। এ ব্যাপারে জনগণকেও সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানাবো।’
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে পণ্যের মুল্য বৃদ্ধি পেলেও আমাদের দেশে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর মত কখনো পণ্যের সংকট তৈরি হয়নি উল্লেখ করে গণমাধ্যমকেও এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘যাতে কেউ এই ধরণের সংকট তৈরি করতে না পারে এবং অতিরিক্ত মুনাফা করে যেন পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিতে না পারে, এ ক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রিপোর্টিং করাসহ গণমাধ্যমও ভূমিকা রাখতে পারে।’
কেআই//