ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

শহীদদের স্মরণে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমাণ্ডের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৩ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৩ রবিবার | আপডেট: ১২:০৪ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৩ রবিবার

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণের পাশাপাশি ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও একাত্তরে গণহত্যায় জড়িত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিচারের দাবিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচী পালন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড, কেন্দ্রীয় কমিটি।

২৫ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৭:৩০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবন সংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তনের সামনে এ আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম প্রিন্স।

আরোও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সংসদ সন্তান কমাণ্ড, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সৈকত, সহ-সভাপতি শেখ রাসেল, সহ-সভাপতি আশরাফুল ফাহাদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শের সম্রাট খানসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। 

মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচীতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, "আজ ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী অন্যায়ভাবে নিরীহ বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নৃশংস গণহত্যা ও গণধর্ষণ চালিয়েছিল। স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও পর্যন্ত ৩০ লক্ষ বাঙালিকে গণহত্যা ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হানি করার অপরাধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোন বিচার হয়নি যা কখনোই বাংলাদেশের জনগণ মেনে নিবে না। জাতিসংঘের নিকট দাবি, অবিলম্বে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। একাত্তরে নৃশংস গণহত্যায় জড়িত পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। একাত্তরে গণহত্যা ও গণধর্ষণের অপরাধে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের নিকট রাষ্ট্রীয় ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা এদেশের মানুষ কখনোই ভুলবে না।"
 
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, "স্বাধীনতা আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার জন্য অপারেশন সার্চলাইট নামক সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ঢাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ওপর গণহত্যা চালায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। অভিযান শুরু করার পূর্বে সকল বিদেশি সাংবাদিকদের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।বাঙালিদের ওপর আক্রমণের পর গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। জাতিসংঘের নিকট দাবি, একাত্তরের নৃশংস গণহত্যায় জড়িত পাকিস্তানকে জবাবদিহি করে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ২৫ মার্চের বর্বরতাকে স্মরণ তথা প্রকৃতার্থে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি জাতির চিরন্তন শ্রদ্ধার স্মারক এবং সাক্ষ্য হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু আজও পর্যন্ত জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি যা অত্যন্ত দুঃখজনক। অবিলম্বে ২৫ মার্চকে জাতিসংঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এজন্য বিশ্বব্যাপী জনমত গঠনে সরকারকে কাজ করতে হবে।"

এসবি/