রক্তরাঙা সূর্যোদয়ের পূর্বাভাস ২৬ মার্চ (ভিডিও)
মানিক শিকদার, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০৬ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৩ রবিবার
কালরাতের ধ্বংসযজ্ঞ আর লাশের মধ্য থেকে রক্তরাঙা সূর্যোদয়ের পূর্বাভাস ২৬ মার্চ। পশ্চিম পাকিস্তানীদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়ে যান স্বাধীনতার ঘোষণা। শুরু হয় সশস্ত্র সংগ্রাম, মুক্তির যুদ্ধ।
পাকিস্তানের ২৩ বছরের শোষণ নিপীড়ন আর দুঃশাসনের কড়ালগ্রাস থেকে জাতিকে মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদানকারী দলনেতা মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেন, “৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে দাঁড়িয়ে যখন বললেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’ তখনই মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি হয়ে গেল।”
বাঙালির গণজাগরণ ঠেকাতে পাকিস্তানী শাসকরা বেছে নেয় গণহত্যার পথ। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, তার আগেই নেতা শেখ মুজিব স্বাধীনতার ডাক দেন।
সংসদ সদসৗ ও সিনিয়র সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান বলেন, “২৫শে মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় তাজউদ্দিন থেকে শুরু করে সবাই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে নির্দেশিত জায়গায় চলে যাচ্ছেন। কোলকাতায় কার কাছে যাবে, কোথায় যাবে, ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কার মাধ্যমে দেখা করবে- এগুলো সব বঙ্গবন্ধু বলে দিয়েছিলেন।”
চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার করা হয় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার সেই ঘোষণা।
মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬শে মার্চ সকালবেলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন। তিনি নিজেকে এই দেশের রাষ্ট্রপিতা হিসেবে আমাদের সামনে উপস্থাপিত করলেন।”
ওয়ারলেসের মাধ্যমে সেই বার্তা পৌছে যায়। অস্ত্রে সজ্জিত বাঙালি সৈন্যরা অবস্থান নেয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সর্বস্তরের মানুষ।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ জহির বীরপ্রতীক বলেন, “স্বশস্ত্র বাহিনীর সৈনিকরাও জনমানুষের সঙ্গে একত্রে যুদ্ধ করেছিলেন। এটা আমরা নিজেরাই তার প্রমাণ। এলিটদের যুদ্ধ এটা হয়নি। ইপিআর, পুলিশ, আনসার, মুজাহিদ, স্কুল-কলেজের ছাত্র, গ্রামের কৃষক- এরা সবচেয়ে বেশি এসেছিল যুদ্ধে। সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হয়েছে গ্রামের কৃষক।”
নয় মাসের প্রতিরোধ যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদদের আত্মদান ও ২ লাখের অধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।
এএইচ