ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

হুমকির মুখে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র, উদ্বিগ্ন বনপ্রেমীরা (ভিডিও)

প্রতিনিধিদের খবর

প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২৩ মঙ্গলবার

উচ্চশব্দের নৌযান চলাচল ও জ্বালানি তেলের দূষণে হুমকির মুখে সুন্দরবনের সার্বিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র। ক্রমেই দূষিত হচ্ছে এখানকার নদনদী। এ নিয়ে বন বিভাগের তেমন তৎপরতা নেই। তবে উদ্বিগ্ন পরিবেশবাদীরা।

সুন্দরবন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই বিশ্ব-ঐতিহ্যের ৬ হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমিটারই বাংলাদেশ ভূখণ্ডে। বাকি ৩৪ শতাংশের অবস্থান ভারতে।

গত ৫-৭ বছরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অন্তত ১৫টি কয়লা, সার ও জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ ডুবেছে সুন্দরবনের আশপাশের নদীতে। এছাড়া প্রতিদিনই এসব নদীতে চলছে ছোট-বড় কয়েক হাজার নৌযান। 

কিন্তু একের পর এক জাহাজ ডুবির পাশাপাশি উচ্চশব্দের নৌ-চলাচলে হুমকির মুখে সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র। বনের গোটা প্রাণীকূল থাকে আতঙ্কে। কিন্তু এনিয়ে তেমন তৎপরতা নেই সংশ্লিষ্টদের।  

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, “শব্দ দূষণের কারণে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রজননে ও চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটছে।”

করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, “শব্দ দূষণ ও বর্জ্য দূষণে ক্ষতি বেশি হচ্ছে।”

বনের ভেতর ও আশপাশের নদী দিয়ে পণ্যবাহী নৌযানের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা। 

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), মোংলা আহবায়ক নুর আলম শেখ বলেন, “সুন্দরবনে চলাচলে নৌযান বিশেষ করে ট্রলার, লঞ্চ, কার্গোর উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা উচিত। সেই কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে দাবি, শব্দ দূষণ যেন শব্দ করা হয়।”

খুলনা বিশ্বদ্যিালয়ের প্রফেসর ড. মো: সাইদুর রহমান বলেন, “সুন্দরবনের ভেতরে উচ্চ শব্দ উৎপন্নকারি ট্রলারগুলোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।”

শব্দদূষণ রোধ এবং জ্বালানিজনিত ক্ষতি থেকে সুন্দরবনকে নিরাপদ রাখতে কার্যকরি উদ্যোগ চান বনপ্রেমীরা। 

এএইচ