রাজমিস্ত্রি নির্ভর তৈরি ভবন ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে (ভিডিও)
মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৫১ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২৩ বুধবার
আতঙ্ক ছড়ানো নয়, বরং ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কমিয়ে আনতে হবে। উৎকন্ঠায় সময় নষ্ট না করে, ভবনগুলো ভূমিকম্প সহনশীল করে তৈরি এবং ঝুকিপূর্ণ থাকলে সংশোধন করতে হবে এখনই, এমন পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। তাদের সাফ কথা, ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় শঙ্কা মাথায় রেখেই ভবনগুলো নিরাপদ রাখার উদ্যোগ নিতে হবে।
নিরাপদ আশ্রয়স্থল মানুষের বসবাসের ঘর। মানুষই তাই বসবাসের জন্য গড়ে তোলে সুরম্য দালান; অথচ সেটা কতটা নিরাপদ? ঠিকঠাকভাবে তৈরি হয়েছে তো?
স্থপতি ও প্রকৌশলীদের বিশ্লেষণ, ভবনের ডিজাইনে ক্ষয়ক্ষতি নির্ভর করে না। নির্ভর করে কতটা মজবুত- তার ওপর।
ভূমিকম্পের তীব্রতার মাত্রা আর উৎপত্তিস্থল কোথায় সেটা অন্যতম বিবেচ্য বিষয় হলেও এর ওপর কারো হাত নেই। এটা যেমন ঠিক, তেমনি মানুষ অনায়াসেই পারে নিজেদের ভবনগুলো নিরাপদ করে গড়তে।
আরবান স্টাডি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী স্থপতি তাইমুল ইসলাম বলেন, “আমার আশপাশের সয়েল কন্ডিশনটা কি, শক্ত মাটি হলে একরকম, যদি ভরাট করা মাটি হয় এতেই তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।”
রাজউক আরবান রেজিলেন্স প্রজেক্ট প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল লতিফ হেলালী বলেন, “যে কোনো দুর্ঘটনার পরে রি-অ্যাকটিভ অ্যাপ্রচ এমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টের কাজই করতো এক সময়। এটা এখন প্রো-অ্যাকটিভ অ্যাপ্রোচে চলে এসেছে। অর্থাৎ আগেই কিছু করতে হবে।”
বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডকে কাগুজে দলিল মন্তব্য করে প্রকৌশলীরা বলছেন, রাজমিস্ত্রি নির্ভর ভবন নির্মাণ সুরক্ষা দেবে না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পুরকৌশল বিভাগ অধ্যাপক ড. মেহিদী আহমেদ আনসারী বলেন, “ভবন যদি ভূকিম্পন সহনীয় করা যায় বিল্ডিং কোড মেনে। তাহলে ৯০ শতাংশ মানুষকে বাঁচানো সম্ভব। তারপরেও কিছু ভবন ভাঙবে, সেখান থেকে উদ্ধার করার জন্য যন্ত্রপাতিও রাখতে হবে।”
ঝুঁকি কমাতে, অনুমোদিত উচ্চতার অতিরিক্ত তলাগুলো ভাঙা একেবারে সম্ভব নয়; কিন্তু অল্প হলেও শুরু করার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।
স্থপতি তাইমুল ইসলাম বলেন, “ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ৬ তলা বিল্ডিংয়ের ডিজাইন করেও আনি, তারপর যখন দুটি ফ্লোর অ্যাড করি তখনই তো ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেললাম।”
সাধারণ পুরনো ভবন সংস্কার বা ভেঙ্গে ফেলার পাশাপাশি প্রাচীন ঐতিহ্যের ভবনগুলো বিষয়ের দ্রুততম সময়ে সিদ্বান্তে আসার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এএইচ