ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

সামান্য বাতাসেই লণ্ডভণ্ড নবনির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৩৭ এএম, ২ এপ্রিল ২০২৩ রবিবার

সামান্য বাতাসেই মাদারীপুরের কালকিনির আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬টি ঘরের টিন উড়ে গেছে। নবনির্মিত এসব ঘরের টিন উড়ে যাওয়ায় উপকারভোগীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিমার্ণের ১ মাসের মাথায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের বেহাল অবস্থায় হওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

স্থানীয় ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের চরঠেঙ্গামারা একালার আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হয়। এরই মধ্যে উপকারভোগীদের মধ্যে দেওয়া হয়েছে বরাদ্দ। উপকারভোগী পরিবারগুলো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

শনিবার ভোররাতে বৃষ্টির সঙ্গে একটু দমকা হাওয়া বইলে প্রকল্পের ৬টি ঘরের টিন উড়ে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বরাদ্দ পাওয়া উপকারভোগীরা। বিষয়টি উপজেলা ও জেলা প্রশাসন জানতে পেরে তরিঘড়ি করে ঘরগুলো মেরামত করে দেয়। 

স্থানীয়দের দাবি, দায়সারাভাবে কাজ করা ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে সামান্য বাতাসে ঘরগুলোর টিন উড়ে গেছে। অসহায় মানুষের জন্য সরকারে দেয়া ঘরগুলো তৈরিতে এমন নয়ছয় করায় ক্ষুদ্ধ সচেতন নাগরিক সমাজ।

স্থানীয় বাসিন্দা মো.সামচু বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর তৈরির কারণেই চাল উড়ে গেছে। বেশি কিছু বললে সমস্যায় পড়বেন বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা হাসমত আলী জানান, ভোর রাতে বৃষ্টি হয়েছে, সঙ্গে সামান্য বাতাস। এতে এলাকায় তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। 

এব্যাপারে কালকিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, ঝড়ে চাল উড়ে যেতেই পারে। এখনও ঘরে কেউ উঠেনি। চাল ঠিক করে দেওয়া হবে। কাজে গাফলতি আছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঝড়ে ক্ষতি হতেই পারে।

এব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকী সাহার সরকারি নম্বরে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ঝড়ের কারণে ৪টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো সকালেই মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করেছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, খোলা স্থানে ঘর হওয়ার কারণে এমন হয়েছে।

এএইচ