ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলার খবরে খুশি মাদারীপুরের মানুষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২২ পিএম, ২ এপ্রিল ২০২৩ রবিবার

বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু গত বছরের ২৫ জুন উদ্বোধন হয়। সড়কপথে দুয়ার খুলে যায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের। কিন্তু অপ্রাপ্তি ছিল একটিই, উদ্বোধনের দিন পদ্মা সেতুতে চলেনি ট্রেন। সাড়ে নয় মাস পরে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে আগামী ৪ এপ্রিল। এদিন প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে পদ্মা সেতুতে চলবে ট্রেন। আর এ খুশিতে আত্মহারা পদ্মাপাড়সহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ।

প্রথমবার মাদারীপুরের মাটিতে ট্রেন দেখতে পাওয়ার আনন্দে যেন তাদের আর তর সইছে না। পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন সেবা চালু হলে চলাচলের সুবিধাসহ এ এলাকার মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যও গতিশীলতা আসবে। স্বল্প খরচে রাজধানীতে পণ্য আনা নেয়া করতে পারবে ব্যবসায়ীরা। রেলসেবা চালু হওয়াতে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মূল সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে। দিন রাত ২ শিফটেই চলছে কার্যক্রম। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি ভায়াডাকের উপর পাথরবিহীন প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেল সেতু স্থাপন হয়েছে মূল সেতুতে। মূল রেল সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে ইতোমধ্যে।  

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত হতে ভাঙা পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ করা হয়েছে ৩২ কিলোমিটার। সফলভাবে ভাঙ্গা হতে পদ্মা সেতু পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার রেল লাইনে রেল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে আরো আগেই। এখন আগামী ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া পর্যন্ত রেল চলাচল ট্রয়াল দেয়া হবে। এর মধ্যে ভায়াডাক উড়াল রেললাইন ৪ কিলোমিটার আর মাটির ওপর দিয়ে ২৮ কিলোমিটার। ভায়াডাকের ৪ কিলোমিটার রেললাইন প্রস্তুত করা হয়েছে পাথরবিহীন। আর
২৮ কিলোমিটার নির্মাণ করা হয়েছে পাথর দিয়ে। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত হতে ভাংগা পর্যন্ত ৩টি স্টেশন রয়েছে, ভাঙ্গায় জংশন, শিবচরে ২টি স্টেশন। স্টেশনগুলোর ওপর দিয়ে ৩২ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। 

এছাড়া ভাঙা জংশনটি আধুনিকায়ন করার কাজ চলছে। রেল সংযোগ প্রকল্প ঢাকা থেকে মাওয়া শিবচর ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ১ম পর্যায় এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ২য় পর্যায়।
কেআই//