ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রুপিতে করার উদ্যোগ (ভিডিও)
রাজিব জামান, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:১৭ পিএম, ৩ এপ্রিল ২০২৩ সোমবার | আপডেট: ১২:১৮ পিএম, ৩ এপ্রিল ২০২৩ সোমবার
ভারত-বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্যে রুপি ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে অন্তত দুই বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রুপিতে করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে উভয় দেশ। ব্যবসায়ী নেতারা বলছে, উদ্যোগটি সফল হলে ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমবে।
গত অর্থবছরে ভারতে প্রায় ২শ’ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। বিপরীতে আমদানি হয় ১ হাজার ৬১৯ কোটি ডলারের পণ্য। বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলার। বিশাল এই বাণিজ্য পুরোটাই হয় মার্কিন ডলারে। ফলে চাপ তৈরি হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে।
এমন বাস্তবতায় ডলারের ওপর নির্ভরতা কমানোর পথে হাঁটতে চাচ্ছে উভয় দেশ। প্রাথমিকভাবে দুই বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রুপিতে সম্পন্ন করা যায় কি-না তার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। উভয় দেশই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যেই এই প্রক্রিয়াটি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, “স্ট্রেট অব ইন্ডিয়া বলেছে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার, এই দুই বিলিয়ন আমরা ভারতীয় রুপিতে এলসি করতে পারবো।”
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ভারতের সঙ্গে রুপিতে বৈদেশিক লেনদেন করা গেলে রিজার্ভের ওপর চাপ কমবে। ডলারের সাশ্রয়ের পাশাপাশি দেশটির সঙ্গে আমদানি ঋণপত্র খোলারও বাড়তি সুযোগ তৈরি হবে।
আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, “ডলারের উপর আমরা নির্ভরশীল হবো না। এই দুই-তিন বিলিয়ন ডলার আমরা বাঁচাতে পারি সেই ডলার দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো অন্যান্য দেশ থেকে আনতে পারবো।”
তবে রুপিতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সব ব্যবসায়ী যাতে সমান সুযোগ পান, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, “ইন্ডিয়ার রুপিতে এলসি খোলার সুযোগে অনেকে ঝাপিয়ে পড়বে, কাড়াকাড়ি হবে। সেখানে ঠিক থাকতে হবে, নইলে একটা গ্রুপ সব নিয়ে চলে যাবে।”
রাশিয়া, মরিশাস, ইরান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অন্যান্য মুদ্রার পাশাপাশি রুপিতে বাণিজ্য শুরু করেছে ভারত। শিগগিরই এ তালিকায় যোগ হচ্ছে মালয়েশিয়াও।
এএইচ