ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

৫ হাজার দোকান পুরে ছাই, ক্ষতি দেড় হাজার কোটি টাকা

তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৩ এএম, ৫ এপ্রিল ২০২৩ বুধবার

বঙ্গোবাজারের ভয়াবহ আগুনে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার দোকান পুরে ছাই হয়েছে। এতে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করছে দোকান মালিক সমিতি। প্রাথমিক পুঁজি গঠনে সরকারকে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। পাশাপাশি পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো নতুন করে গড়ে বীমা-সুবিধা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন তারা। 

মুহূর্তের আগুনে পুড়ে শেষ রাজধানীর বঙ্গোবাজার। ঈদকে সামনে রেখে ছোট ব্যবসায়ীদের বাড়তি বিনিয়োগ সবই এখন ছাই। 

ভোরে মার্কেট বন্ধ থাকায় মালামাল রক্ষায় কিছুই করতে পারেননি তারা। চোখের সামনে সব হারিয়ে দিশেহারা দোকানিরা।  

প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ধারণা করছে, আগুনে অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুরে গেছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার দোকান।  

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, “সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। ওখানে প্রায় পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার দোকান একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার উপরে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, এই মুহূর্তে এখানে থোক বরাদ্দ দেওয়া হোক। না হলেই এই ব্যবসায়ীরা ঘুড়ে দাঁড়াতে পারবে না।”

এদিকে, নতুন করে পুঁজি গঠনে সরকারের সহায়তা জরুরি বলছেন অর্থনীতিবিদরা।  

অর্থনীতিবীদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের এটা অপূরণীয় ক্ষতি। সার্বিক বিবেচনায় বলবো, সরকার যতটুকু পারুক পাশে দাঁড়াক। পুনর্বাসন যদি করা সম্ভব হয় কোনো একটা প্রকল্পের মাধ্যমেই হোক বা ঋণ দিয়ে সেটা একটা ভালো কাজ হবে। সরকারকে এগিয়ে আসতে।”

ভবিষ্যতে আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি এড়াতে দোকানগুলোর জন্য ইন্স্যুরেন্স সুবিধা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন  অর্থনীতিবিদরা।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “ইন্স্যুরেন্সকে আমরা অবহেলা করি কিন্তু এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে ইন্স্যুরেন্স ছাড়া বিজনেস করতে দেওয়া হয় না। আমাদের মতো দেশে শুধু ইন্স্যুরেন্স ছাড়া বিজনেস করতে পারে।”

এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিরা পুনরায় তাদের পজিশন বা দোকান ফিরে পাবেন কি-না তা নিয়েও শঙ্কায় দোকান মালিক সমিতি।

এএইচ