ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

অদক্ষ কর্মী প্রেরণে প্রত্যাশিত রেমিট্যান্স আসছে না

আকবর হোসেন সুমন, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৬ এএম, ৬ এপ্রিল ২০২৩ বৃহস্পতিবার

গেল বছর রেকর্ড ১১ লাখেরও বেশি কর্মী গেছেন বিদেশে। যার সিংহভাগের গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্য। কিন্তু অদক্ষ কর্মী যাওয়ায় প্রত্যাশিত রেমিট্যান্স আসছে না। এমন বাস্তবতায় দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির নতুন বাজার খুঁজছে সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাহিদা নির্ণয় করে নতুন শ্রমবাজারে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি পাঠালে রেমিট্যান্সে ব্যাপক গতি আসবে। 

গত বছর কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন রেকর্ড ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন বাংলাদেশি।  যার মধ্যে ৬ লাখ ১২ হাজার ৪১৮ জনের গন্তব্য পুরনো শ্রমবাজার সৌদি আরব। এছাড়া ওমানে ১ লাখ ৭৯ হাজার ও আরব আমিরাতে গেছেন ১ লাখ ২ হাজার কর্মী। কিন্তু এই বাড়তি কর্মী প্রেরণের প্রভাব নেই রেমিট্যান্সে। 

অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি। সৌদি আরবকে টপকে রেমিট্যান্সে শীর্ষে এখন যুক্তরাষ্ট্র।

এমন বাস্তবতায় রেমিট্যান্স আহরণ বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নতুন শ্রমবাজার খোঁজার তাগিদ সরকারের। এজন্য মিশনগুলোকে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারের তাগিদ দিয়েছেন সরকারপ্রধান। 

জনশক্তি রপ্তানিকারদের সংগঠন বায়রা বলছে, নতুন বাজারে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। যেমন- জাপান, ইটালীর কৃষিখাত, রোমানিয়ায় প্যাকেজিং, পোল্যান্ড ও কোরিয়ায় হাইটেকসহ প্রায় ১৫টি দেশের নানা খাতে দক্ষ জনবল পাঠানোর সুযোগ আছে। 

বায়রা সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, “এই মার্কেটগুলোর চাহিদা নির্ণয় করে দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারলে মার্কেটগুলো ধরা সহজ হবে।”

সুযোগ কাজে লাগাতে দেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলায় গুরুত্ব দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। 

আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, “দক্ষতা বিকল্প শুধু দক্ষতাই। অভ্যন্তরীন মার্কেটে এখন দক্ষ লোকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে বিদেশি লোক কাজ করছে, সেখানে দক্ষ লোকের প্রয়োজন। আমাদের রেমিট্যান্সের প্রায় ৬-৭ বিলিয়ন বিদেশি কর্মীদের বেতর দিচ্ছি। তার মানে আমাদের দক্ষ জনবলের সংকট আছে।”

শ্রমশক্তির নতুন বাজারে পা রাখলে প্রবাসী আয়ের স্রোত বাড়বে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। 

এএইচ