নতুন প্রকল্পে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা পূর্ব-পশ্চিমমুখী
সাইদুল ইসলাম, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪৫ এএম, ৮ এপ্রিল ২০২৩ শনিবার
স্মার্ট ঢাকার যোগাযোগ উত্তর-দক্ষিণ থেকে পরিবর্তিত হয়ে পূর্ব-পশ্চিমমুখী হবে। নেটওয়ার্কটি হবে জালের মতো। ১৪ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে গতি আনবে চলাচলে। শুধু তাই নয়, ঢাকার চারপাশে নদ-নদীগুলোকেও ব্লু নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা আছে। খালগুলোকেও নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে। তাই ঢাকার যোগাযোগে নৌপথেও আসবে চমক।
বিমান বন্দর সড়ক, যানজট লেগেই থাকে। এ সড়কে ভোগান্তিই নিত্য সঙ্গী। কিছু দিনের মধ্যেই মুক্তি মিলতে চলছে। কাজ শেষ হলে বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট।
যানজট নিরসনে সরকারের সবচেয়ে বড় প্রকল্প ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নির্মাণ কাজ দ্রুতই এগিয়ে চলেছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাওলা হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত সংযোগ সড়কসহ ২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ সড়ক পথের।
এটি চালু হলে বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী যেতে সময় লাগবে ২০ মিনিট। প্রথম ধাপে এক্সপ্রেসওয়েটি বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত খুলবে এ বছরই। আর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সংযোগ করতে পূর্বাচলে নির্মাণ করা হচ্ছে সাড়ে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৪ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে। এটি হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় এক্সপ্রেসওয়ে।
বর্তমান ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উত্তর-দক্ষিণ। সড়কগুলোর বেশির ভাগই উত্তরা থেকে দক্ষিণ দিকে। নতুন প্রকল্পে ঢাকার যোগাযোগ হবে পূর্ব-পশ্চিমমুখী। তখন ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে মাকর্শার জালের মতো।
ড্যাপের পরিালক মো. আমরাফুল ইসলাম বলেন, “এমআরডি লাইনের করিডোরগুলো উত্তর-দক্ষিণেরও আবার পূর্ব-পশ্চিম বরাবর আছে। তখন মাকর্শার জালের মতো সমগ্র ঢাকা শহরে বিস্তৃত হবে।”
বুয়েট এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক বলেন, “দিন দিন বেড়ে সমস্যাটা জটিল থেকে জটিলতর হয়ে যাচ্ছে। সিএনজি বেড়ে যাচ্ছে, মোটরসাইকেল বেড়ে যাচ্ছে। শঙ্কা হচ্ছে, মেট্রোর যে উপযোগিতার জন্য নীচে যে হালকা-পাতলা তৈরির যে উদ্দেশ্য ছিল সেটা হাসিল হওয়ার সাথে সাথে ছোট ছোট গাড়িগুলোর জন্য নীচের যানজটটাকে দূর করতে পারবে না।”
যোগাযোগ নেটওয়ার্কে গুরুত্ব পাচ্ছে নৌ নেটওয়ার্ক। নৌপথ আধুনিকায়ন হলে যোগাযোগে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌপথের আধুনিকায়ন জরুরি।
মো. আমরাফুল ইসলাম বলেন, “৫৭৪ কিলোমিটার জলপথের নেটওয়ার্কের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই কার্যক্রমগুলো শুরু হবে।”
অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক বলেন, “সদরঘাট থেকে নেমে যাব মতিঝিলে, গুলিস্তানে। এই ফিডারটিকে যদি সমন্বয় না করি তাহলে রাস্তা থেকে ট্রাফিক লোডটাকে নৌপথে নিতে পারবো না।”
বর্তমান সরকারের হাত ধরে মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি যেমন হয়েছে, তেমনি চলাচলের সুযোগটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর পাশাপাশি বাস্তবায়নাধীন ও পরিকল্পনাধীন কার্যক্রম শেষ হলে দৃশ্যমান হবে যোগাযোগ খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
এএইচ