ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ভুলে ভোগান্তিতে ববি’র শিক্ষার্থীরা

 ববি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:৫০ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০২৩ শনিবার

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) স্টার সানডের ছুটি আগামী ১০ এপ্রিল (সোমবার) করে একাডেমিক ক্যালেন্ডার করেছে কর্তৃপক্ষ৷ অথচ কোন রকম যাচাই বাছাই ছাড়ায় ৯ এপ্রিল (রোববার) স্টার সানডে ধরে বিভিন্ন বিভাগের বর্ষ-সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর৷ এমন সিদ্ধান্তে ভোগান্তি ও সেশনজটের কবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ ভর্তি শিক্ষাবর্ষের রসায়ন বিভাগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগ ও অর্থনীতি বিভাগ, ২০২০-২১ শিক্ষার্বর্ষের গণিত বিভাগ, ২০২১-২২শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাষ্টার্সের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা রুটিন অনুযায়ী ৯ এপ্রিল হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পক্ষে স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ৯ এপ্রিলের সকল ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করায় ক্ষুদ্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা৷
 
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুঙ্গে৷ রোকন নামের এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, কতটা উদাসীন হলে এমনভাবে রুটিন করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৯ তারিখের স্থগিত পরীক্ষা রসায়ন ও গণিত বিভাগের এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে, লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষ ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ১৭ এপ্রিল, মার্কেটিং বিভাগের স্নাতক প্রথমবর্ষ ও ফিন্যান্স বিভাগের মাস্টার্সের ৭ মে ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের পরীক্ষা আগামী ১১ মে অনুষ্ঠিত হবে৷

ঈদের আগেই অধিকাংশ বিভাগের সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ হওয়া কথা থাকলেও ৯ তারিখের পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি৷ বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও সেজনজটের কবলে পড়ার কথা বলেছেন শিক্ষার্থীরা৷  

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের মাষ্টার্সে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী কামাল (ছদ্মনাম) বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই আমরা রুটিন অনুযায়ী পড়াগুলোর সঙ্গে একটা টাইম সেট করা থাকি। যাতে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকা যায়। এখন পরীক্ষা পেছানোয় সব পরীক্ষাগুলোর মধ্য একটা ইমব্যাল্যান্সড সিচুয়েশন তৈরি হইলো। তাতে তীব্র সেশনজটের আশঙ্কায় আছি।

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আজমির হাসান রিসাদ বলেন, কতটা উদাসীন হলে এমনভাবে একটা রুটিন তৈরি করতে পারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর। ইস্টার সানডের বন্ধ দেখে রুটিন করেনি। এখন পরীক্ষার আগ মুহূর্তে নোটিশ দিচ্ছে যে পরীক্ষা স্থগিত। 

বিষয়গুলো নিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর স.ম. ইমানুল হাকিম বলেন,‘আমি ছুটিতে আছি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না৷’

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষর সম্বলিত পরীক্ষা স্থগিত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষর করেছে৷’

উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সাযজাদ উল্লাহ ফয়সালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেছেন, স্যার যেটা বলেছে ওটাই৷ একাডেমিক ক্যালেন্ডার দেখে রুটিন করা হয়েছে, ক্যালেন্ডারে ছুটি ছিল না তাই এমনটা হয়েছে৷

এএইচ