ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৮ ১৪৩১

মোরেলগঞ্জে ঘের দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৫

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৪৭ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২৩ সোমবার

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ১৫ বিঘা জমির একটি মৎস্য ঘের দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে জিউধরা ইউনিয়নের বাইনতলা গ্রাামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বাইনতলা গ্রামের ১৫ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরটির মধ্যে ওই গ্রামের হালিম হাওলাদার ও তৈয়ব আলী হাওলাদারের নিজস্ব জমি রয়েছে। তৈয়ব আলী হালিম হাওলাদারের জমির হাড়ির টাকা না দিয়ে সেখানে কয়েক বছর ধরে ঘের করছিলেন। এ নিয়ে হালিম থানা পুলিশ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ ও এমপির মনোনীত সালিশগণ ঘটনাটি নিষ্পত্তির জন্য ৮-১০ বার শালিশ বৈঠক করে মিমাংশায় ব্যর্থ হন। সোমবার তৈয়ব আলীর পক্ষ হয়ে শতাধিক লোক ওই ঘেরে ভেকু মেশিন দিয়ে ভেরিবাধতে যায়।

এ সময় হালিমের লোকজন বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা করে তৈয়ব আলীর লোকজন। এক পর্যায়ে ঘের সংলগ্ন নুর মোহাম্মদ শেখের বাড়ির মধ্যে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের ওপরও হামলা করে তৈয়ব আলীর লোকজন।

এতে গুরুতর আহত আব্দুল খালেক হাওলাদার, শহিদুল ইসলাম, হালিম হাওলাদার, হানিফ হাওলাদার, কাদের হাওলাদার, মানিক হাওলাদার, শাহিনুর বেগম, মিরাজ মল্লিক, মুরাদ হাওলাদার, রবিউল ইসলাম, আব্বাস ফরাজী, সালাম হাওলাদার, নুর মোহাম্মদ শেখ, হাফিজা বেগম, রুবি বেগম, সেলিনা বেগম, চয়ন হাওলার, জাকির শেখকে, রাজু খান, রাকিব শেখ, রুম্মান ও ইমরাজকে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদের মধ্যে গুরুতর জখমী ও হাত-পা ভাঙ্গা অবস্থায় খালেক হাওলাদার (৬৫), হালিম হাওলাদার (৫৪), হানিফ হাওলাদার (৫০), কাদের হাওলাদার (৬০), মানিক হাওলাদার (৬০) ও মুরাদ হাওলাদারকে (১৪) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। থানা পুলিশ ও এমপির নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও ঘেরটি নিয়ে বড় ধরণের মারপিটের ঘটনা ঘটায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনার জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান ও জিউধরা ফাঁড়ি পুলিশের আইসি এস আই সুফলকে দায়ী করছেন অনেকে।

গুরুতর আহত হালিম হাওলাদারও তার স্বজনেরা বলেন, মিজানের নেতৃত্বে মারপিট করা হয়েছে। এসময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও কোন ভূমিকা নেয়নি।

অপরদিকে আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, অনাকাঙ্খিত এ ঘটনার জন্য থানা পুলিশের এসআই জহির দায়ী। তার উস্কানীতে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তেমন কিছু ঘটেনি। আহতদেরকে হাসপাতালে পাঠাতে পুলিশ সহযোগীতা করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেআই//