আকর্ষণ মাতারবাড়ি, আঞ্চলিক বিনিয়োগে আগ্রহী জাপান
দুলি মল্লিক, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৪৪ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২৩ বৃহস্পতিবার
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বঙ্গোপসাগরকে উন্মুক্ত করা ভৌগলিক অর্থনীতি ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এক্ষেত্রে জাপানের বিনিয়োগে ‘ইন্ড্রাট্রিয়াল ভ্যালু চেইনে’ এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে যুক্ত করার তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে ভারত-জাপান ও বাংলাদেশ- তিন দেশের মধ্যে সমন্বয় জরুরি বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
ত্রিপুরার আগরতলায়- তিন দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে দু’দিনের সম্মেলনের শেষ দিনে উঠে আসে এসব তথ্য।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টারকে বাংলাদেশের মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে যুক্ত করে শিল্পকেন্দ্র গড়ে তোলায় বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে জাপান। তবে এ উদ্যোগে কোন দেশ কতোখানি লাভজনক হবে তার হিসাব-নিকাশ উঠে আসে ভারতের ত্রিপুরায় এশিয়ান কনফ্লুয়েন্সের দ্বিতীয় দিনের সম্মেলনে।
উত্তর-পূর্ব ভারত, বাংলাদেশ ও বঙ্গোপসাগরে উন্নয়ন অংশীদার: এগিয়ে যাওয়ার পথ- এই শিরোনামে আয়োজিত ওই সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বন্ধুত্ব, রাজনৈতিক আধিপত্য ও বাংলাদেশ-ভারতের বৃহৎ বাজারকে ধরতেই জাপানের এই বিনিয়োগ।
আর গেল কয়েক দশক ধরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ তার বাণিজ্যের হাত আরও প্রসারিত করতে চায়। যুক্ত হতে চায় ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় হাইওয়ের সঙ্গে।
এ অবস্থায় আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে শিল্পকেন্দ্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জও কম নয়। সম্মেলনে জাপান ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষকে যুক্ত করার ওপর জোর দেন। বলেন, বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান নয়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরির মধ্য দিয়ে মানুষকে সুযোগ দিতে হবে।
এছাড়া বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ পণ্য আমাদানি-রপ্তানিতে ভারতের সঙ্গে অংশীদারীত্বমূলক নীতিতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় সব ফাঁকফোকর দূর করার তাগিদ দেন তারা।
সম্মেলনে তিন দেশের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকারসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় জরুরি বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা।
এএইচ