বাফুফে সাধারণ সম্পাদক সোহাগকে নিষিদ্ধ করল ফিফা
আকাশ উজ্জামান, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:০৪ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২৩ শনিবার | আপডেট: ০১:৫৫ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২৩ শনিবার
অর্থ আত্মসাৎ, নথি জাল আর দুর্নীতির আভিযোগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। সেই সঙ্গে তাকে ১১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বিশ্বফুটবলের নিয়ন্ত্রক সয়স্থা।
কি কারণে নিষিদ্ধ হলেন সোহাগ সেটাও প্রকাশ করেছে ফিফা।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ক্রিড়াঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনায় ফুটবল ফেডারেশনের অনিয়ম। এই অনিয়ম ফিফার চোখে পরেছিল আগেই। গত ফেব্রয়ারিতে ফিফা সদর দফতরে যুক্তি খণ্ডন করতে হয়েছিল বাফুফের সাধারণ সম্পাদক সোহাগকে।
ফিফা নৈতিকতা বিষয়ক কমিটির ইনভেস্টিগেটরি চেম্বার বেশ কিছু লেনদেন বিশ্লেষণ করে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪ মার্কিন ডলার লেনদেনে আর্থিক অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার বেশি।
ফিফা নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকউন্টের লেনদেনে উঠে এসেছে অনিয়ম। এতে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে ফিফা থেকে ৭ লাখ ৮ হাজার ৮২০ ডলার পায় বাফুফে। সে অর্থের মধ্যে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪ ডলারের হিসাব নেই। ২০১৭-২০২০ সালে পাওয়া তহবিলেরও কোন হিসেব নেই।
কোচিং স্টাফদের বেতনের হিসেবেও গড়মিল পেয়েছে ফিফা।
কি কারণে নিষিদ্ধ হলেন সোহাগ তা প্রকাশ করেছে ফিফা। সেগুলো হলো:
২০১৬ সালের কেন্দ্রীয় পর্যালোচনায় তথ্য: ফিফা থেকে ৭ লাখ ৮ হাজার ৮২০ ডলার পায় বাফুফে। নির্ধারিত অ্যাকাউন্ট থেকে খরচ হয়েছে মাত্র ৯০ হাজার ১৪ ডলার।
২০১৭-২০২০ সালে ফান্ড থেকে অর্থ পেলেও কোন খতে ব্যয় করেছে সেটার ব্যাখ্যা ফিফাকে দিতে পারেনি বাফুফে।
কোচিং স্টাফকে ৪৪ হাজার ১০০ ডলার বেতন দিয়েছে বলে দাবি ফেডারেশনের। তবে একই খাতে ব্যাংক থেকে দুইবার টাকা উত্তলনের প্রমাণ পেয়েছে ফিফা।
নারী ফুটবলে ভ্রমণ ও বেতন বাবদ ১ লাখ ৭ হাজার ৬৩৪ ডলার খরচের নথি পায়নি ফিফা।
ফিবার নির্দেশনা না মেনে দেশের ক্লাবগুলোকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩৫ ডলার ভর্তুকি দেয়ার দাবি ফেডারেশনের।
নিয়মমাফিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফেব্রুয়ারিতে ফিফার সদর দফতরে ডাক পরেছিলো বলে জানিয়েছিল ফেডারেশনের কর্তারা। কিন্তু এবার বেড়িয়ে এলো আসল থলের বিড়াল।
এএইচ