এবার ঈদযাত্রায় চলবে বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ (ভিডিও)
সাইদুল ইসলাম, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:১১ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২৩ শনিবার
নৌপথে আরামদায়ক ও নিরাপদ যাতায়াতের জন্য বিআইডব্লিউটিসির জাহাজগুলোর ওপর আস্থা ছিল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের। যাত্রী সংকট ও লোকসানের কারণ দেখিয়ে একে একে বন্ধ করে দেওয়া হয় জাহাজগুলো। তবে এবার ঈদযাত্রায় আবারও ১টি জাহাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
বিআইডব্লিউটিসির বহরে থাকা ঐতিহ্যবাহী ৪টি প্যাডেল স্টিমার লেপচা, মাসুদ, অস্ট্রিচ ও টার্ন বন্ধ হয়েছে অনেক আগেই। যাত্রী পরিবহনের জন্য ৫৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা খরচ করে সর্বশেষ সংস্করণে যুক্ত হয় বাঙালি ও মধুমতি। ৭৬০ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতার প্রতিটি জাহাজে রয়েছে ভিআইপি কেবিন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিন, কনফারেন্স রুম, ডাইনিংসহ নানা সুযোগ সুবিধা।
জাহাজ দুটিতে যাত্রী পরিবহন করে প্রতিবছর ৭ কোটি টাকা লাভের অংক কষা হয়েছিল। যদিও সে অংক কখনোই কাঙ্খিত ফলাফল দিতে পারেনি। সদরঘাটে দিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারগুলোতে তালা ঝুলছে। কতদিন খোলা হয় না সেটি বলা দুষ্কর।
সংস্থাটি জানায়, প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লোকসান হওয়ায় বন্ধ করা হয়েছে যাত্রী পরিবহন সেবা।
সদরঘাট বিআইডব্লিউটিসি’র এজিএম তানভীর হাসান বলেন, “প্রতিদিন চালালে সাড়ে ৪ লাখ টাকার উপরে লোকসান হয়। কেননা যাত্রীর সমাগম না থাকলে জাহাজ আপ-ডাউন চলাচল করলে তেল খরচ তো হয়। যার কারণে সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।”
বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান এসএম ফেরদৌস আলম বলেন, “এটা সেবা খাত, জনগণ সেবা পাবে। যতোটুকু সম্ভব এই সেবাটাকে চালু রাখার জন্যে চেষ্টা করা হয়।”
তবে এবার ঈদকে সামনে রেখে ১৮ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত আবারও যাত্রী পরিবহন করবে বিআইডব্লিটিসির জাহাজ মধুমতি, এমনটি জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান।
এসএম ফেরদৌস আলম বলেন, “বিআইডব্লিটিসির দুটি জাহাজের মধ্যে একটি জাহাজ চালু রাখা হবে। সেটি অনেক পথ পরিক্রম করবে, অনেক স্টেশনে ভিড়বে।”
যাত্রীর চাপ বেশি হলে বাঙালি জাহাজটি চালুরও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বিআইডব্লিউটিসি।
চেয়ারম্যান বলেন, “যদি যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যায় তখন আমরা চেষ্টা করবো আরও একটি জাহাজ দেয়ার।”
এএইচ