ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

দেশজুড়ে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৭ এএম, ১৯ এপ্রিল ২০২৩ বুধবার

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে পবিত্র লাইলাতুল কদর। গতকাল মঙ্গলবার ২৬ রমজান দিবাগত রাত ছিল লাইলাতুল কদর। হাজার মাসের চেয়ে উত্তম ও পূর্ণময় এই রজনীতে ইবাদত-বন্দেগির জন্য ইফতার ও মাগরিবের নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ মসজিদসমূহে জমায়েত হতে শুরু করেন। মুসলিম নারীরা ঘরে ঘরে এই রাতের ইবাদতে মশগুল থাকেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগী করে থাকেন।

পবিত্র রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকবেন। এ রাতে মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।

নবি করিম (স.) এই রাতে নিজে ইবাদতে মশগুল থাকতেন এবং তার সাহাবিদেরও বেশি বেশি ইবাদত করার নির্দেশ দিতেন। রমজান মাসের ২১ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে বেজোড় সংখ্যার রাতেই পবিত্র লাইলাতুল কদর। তবে ২৭ রমজান, অর্থাৎ ২৬ রমজান দিবাগত রাতকেই কদরের রাত হিসেবে ধরে নিয়ে থাকেন কেউ কেউ।

রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের প্রতিটি মসজিদে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি জমায়েত হয়ে রাতভর ইবাদত-বন্দেগি করেন। গত রাতে সব মসজিদে খতমে তারাবি শেষ হয়েছে। রাতভর ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে ছিল কুরআনখানি, নামাজ, জিকির, দান-খয়রাত ও দোয়া। রোজাদার মুসলমানগণ ক্ষমার শেষ সুযোগ মনে করে এই রাতে মোনাজাতে আল্লাহ রব্বুল আলামিনের দরবারে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এসবি/