ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

হাওরে বোরো ধান কাটলেন তিন মন্ত্রী

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ২০ এপ্রিল ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সুনামগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের কৃষকরা  অনেক পরিশ্রম করে হাওরে সোনালী ফসল ফলান। কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগ কড়া,অতিবৃষ্টি ও আগাম বন্যার কারণে কৃষকদের ধান ঘরে তুলার আগেই কোন কোন বছর তলিয়ে যায়। এই বছর হাওরে এসে খুব ভালো লাগছে বোরো ধানের বাম্পার ফলন দেখে। আমরা আজকে ধান কাটা উৎসবে এসেছি, এ বছর ধানের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন।

বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের দেখার হাওরের বোরো ধান কর্তন শেষে স্থানীয় কৃষক সমাবেশে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, যে বছর হাওরের ধান হয় সেই বছর সারাদেশের মানুষ হাওরের এই ধান খেতে পারেন। আর যে বছর হাওরের ধান তলিয়ে যায় সেই বছর সারাদেশে খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। 

মন্ত্রী আরও বলেন, এই বছর বন্যা আসার আগেই হাওরের ধান ঘরে উঠে যাবে। ইতিমধ্যে ১ হাজার ধান কাটার মেশিন হাওরে ধান কাটছে তাই আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাধীনতা পরবর্তী কেবলই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়ে দেশ আজ খাদ্য স্বয়ং সম্পূর্ণ, বিশ্বে বাংলাদেশ আব উন্নয়নের একটি রোল মডেল। কিন্তু বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াত শেখ হাসিনার এই উন্নয়নকে মেনে নিতে পারছেনা। 

তিনি বলেন, দেশের মানুষ আর জঙ্গীবাদ আর আগুন সন্ত্রাস দেখতে চায় না। আগামী ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ও এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করা হবে বলে দৃঢ আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। 

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় কৃষক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম।

এদিকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, জলাভূমি হাওরে আর কোন সড়ক নির্মাণ করা হবে না, উড়াল সড়ক নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।  প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে হাওরের ধান ঘরে তোলা সম্ভব নয়, প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। 

মন্ত্রী আরও বলেন, বৈজ্ঞানিকভাবে গবেষণা করে ফসলের সময়টা ১২০ দিনের জায়গায় ১০০ দিন করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এতে আমরা সফল হবো। এমনকি আগাম বন্যা আসার আগেই হাওরের ধান ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা।

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, কৃষক বাচঁলে বাংলাদেশ বাচঁবে এই স্লোগানটি ধারণ করেন জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। কৃষিবান্ধব সরকার হিসেবে কৃষক শ্রমিক, দিনমজুরদের অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড.পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল হাসান, কৃষি বিভাগের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস,পুলিশ সুপার এহসান শাহ, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, বিএডিসির চেয়ারম্যান কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন,সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর,পরিকল্পনামন্ত্রীর পিএস ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসাইন ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নুর হোসেন,জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপন প্রমুখ।

এএইচ