ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগের ব্যাপারে আশাবাদী ত্রিপুরা সরকার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৯ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২৩ বৃহস্পতিবার

অদূর ভবিষ্যতে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে বিমান পরিবহন শুরু হবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার। ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সংবাদমাধ্যম নর্থইস্ট নাওকে বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি আগরতলা ও বাংলাদেশের চট্টগ্রামে শিগগিরই ফ্লাইট শুরু হবে।’

উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ প্রকল্পটি অগ্রসরমান পর্যায়ে রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রিপুরা সরকার গত মাসে কেন্দ্রীয় সরকারকে আগরতলায় মহারাজা বীর বিক্রম (এমবিবি) বিমানবন্দরটি চব্বিশ ঘণ্টা পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় শিল্প সুরক্ষা বাহিনী (সিআইএসএফ) থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী মোতায়েন করার জন্য অনুরোধ করেছে।

ত্রিপুরা সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। তাতে আগরতলার এমবিবি বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিআইএসএফ কর্মী মোতায়েন করার জন্য অনুরোধ করেছে রাজ্য সরকার। যাতে রাতের বেলা বিমানের অবতরণ সক্ষম হয় এবং বিমানবন্দরের পরিষেবাগুলো সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা বাড়ানো যায়।

মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেছেন, কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় আগরতলায় দেশের অন্যতম আধুনিক বিমানবন্দর নির্মাণ করেছে; সেখানে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তবে নিরাপত্তাকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর স্বল্পতার কারণে বিমানবন্দরটি এখনো চব্বিশ ঘণ্টা সচল রাখা যাচ্ছে না। বিষয়টি স্বরাষ্ট্র ও বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের কাছে জানানো হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরটি সপ্তাহে সাত দিন চব্বিশ ঘণ্টা পরিচালনা করতে ন্যূনতম ৩৪২ জন সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) কর্মী এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের একটি দল প্রয়োজন। বর্তমানে সেখানে মাত্র ২৩০ জন সিআইএসএফ কর্মী রয়েছেন। যা সপ্তাহজুড়ে চব্বিশ ঘণ্টা বিমানবন্দর পরিচালনার জন্য অপর্যাপ্ত।

ত্রিপুরার মন্ত্রী আরও বলেছেন, ১১২ জন সিআইএসএফ কর্মীর ঘাটতির কারণে বিমানবন্দরের পরিষেবাগুলো নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে প্রসারিত করা যাচ্ছে না। সূত্র : ইন্ডিয়া ব্লুমস।