আবারও জমে উঠেছে দেশের ই-কমার্স খাত (ভিডিও)
আদিত্য মামুন, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৪২ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২৩ শুক্রবার
বিতর্ক ও আর্থিক কেলেঙ্কারির ধকল কাটিয়ে উঠছে ই-কমার্স খাত। আবারও বাড়ছে অনলাইনে কেনাকাটা। ই-ক্যাব বলছে, এবারের বাংলা নববর্ষ ও ঈদে অনলাইনে বেচাকেনা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৬শ’ কোটি টাকার পণ্য। যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি।
বিতর্কিত বিপণন ব্যবস্থা ও আর্থিক অনিয়মের কারণে ই-কমার্স খাতের জন্য গত দুটি বছর ছিল খুবই অস্বস্তির।
কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়ে এসময়ে বন্ধ হয়েছে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। প্রায় শূন্যে নেমে আসে গ্রাহক আস্থা। তবে ই-কমার্সের জন্য সরকার পৃথক নীতিমালা করায় এখাতে ফিরতে শুরু করেছে শৃঙ্খলা।
বাঙালির বর্ষবরণ এবং ইদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে দেশের ই-কমার্স খাত। দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহের কারণেও অনেকে কেনাকাটায় বেছে নিয়েছেন অনলাইন প্লাটফর্ম। সুঁই-সুঁতো থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক পণ্য, পোশাক, কসমেটিকস কিংবা নিত্যবাজার- সবই মিলছে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২০-২১ সালে প্রায় ৬ লাখ উদ্যোক্তা অনলাইনকে আয়ের মাধ্যম হিসাবে বেছে নেন। যার সংখ্যা এখন অনেক বেশি। ঈদ ও নববর্ষ এখাতের ব্যবসায় যোগ করেছে বাড়তি মাত্রা।
দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড চীফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম বলেন, “আমরা প্রতিটি পণ্য গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। এটি আসলে বড় আস্থার জায়গায়।”
ই-কমার্স খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন ই-ক্যাব বলছে, গ্রাহকদের আস্থা ফেরায় নববর্ষ ও ঈদে অনলাইনে বেচাকেনা বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। গতবারের ৩ হাজার কোটি টাকার বাজার উন্নীত হয়েছে ৪ হাজার ৬শ’ কোটি টাকায়।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ইক্যাব ফাইন্যান্স সেক্রেটারি আসিফ আহনাফ বলেন, “এবছর এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৬শ’ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে ই-কমার্স খাতে। খুবই ভালো প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করেছি।”
একইসঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই প্লাটফর্মও রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
আসিফ আহনাফ বলেন, “ক্ষুদ্র তরুণ ও নারী উদ্যোক্তারা যারা আসলে পণ্য উৎপাদন করে থাকেন, নিজের মতো নতুন ডিজাইন করে থাকেন এই ধরনের পণ্যের অনলাইনে ব্যাপক চাহিদা।”
অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে কোম্পানির বৈধতা ও কার্যক্রমের স্বচ্ছতা যাচাই করে নিতে ক্রেতাদের পরামর্শ দিচ্ছে ইক্যাব।
এএইচ