ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের জন্য হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে দেশ (ভিডিও)

রফিকুল বাহার, চট্টগ্রাম থেকে

প্রকাশিত : ০১:০৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২৩ রবিবার

মিয়ানমারের প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য খাওয়া, ওষুধসহ নিত্যপণ্য সরবরাহ করছে বাংলাদেশ সরকার। আবার এই রোহিঙ্গাদের জন্য গত ৪২ বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পণ্যের ওপর প্রায় এক হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব মওকুপ করতে হয়েছে সরকারকে। রোহিঙ্গাদের জন্মহার দ্রুত বাড়ার কারণে সামনে পণ্য আমদানি বাড়ার সঙ্গে কর ছাড়ের পরিমাণও বাড়বে। 

কক্সবাজার-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আসতে শুরু করে ১৯৭৯ সাল থেকে। সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আসে ২০১৭ সালে। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। 

এদের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে খাদ্যদ্রব্য, চিকিৎসা সামগ্রী, পণ্য আমদানি হচ্ছে কোটি কোটি টাকার। ১৯৭৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৩৮ বছরে পণ্য আমদানি কম থাকলেও ২০১৮ সালে সেটি বেড়ে চারগুণ হয়ে যায়। এসব আমদানি পণ্যের বিপরীতে দেশের রাজস্ব নীতির আলোকে কাস্টমস শুল্ক, ভ্যাট ও ট্যাক্স আদায় করা হতো তাহলে হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পেত বাংলাদেশ। 

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডিসি ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, “যেহেতু এক বছরের হিসাব অনুযায়ী দেখেছি আমদানির বিপরীতে ১১০ কোটি টাকা পেত সরকার। সে হিসাবে ৫ বছরে সাড়ে পাঁচশ’ থেকে ৬শ’ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।”

আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী শরণার্থীদের পণ্যসামগ্রী ত্রাণ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় শুল্ক ট্যাক্স মওকুফ করতে হয় সরকারকে। দেশের সরকার এই ছাড় দেওয়ায় রোহিঙ্গাদের জীবনমান সহজ হয়েছে।

অর্থনীতিবিদ ও চবির সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ড. মঈনুল ইসলাম বলেন, “বিশেষ দেশ আমাদের সহায়তা করছে, অর্থাৎ এই সহায়তার যে পণ্যগুলো এসেছে তার উপর কর বসানো সমর্থনযোগ্য নয়। এখানে কর অব্যাহতি দিতেই হবে যতই ক্ষতি হোক।”

রোহিঙ্গাদের জন্মহার দ্রুত গতিতে বাড়ছে, প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমদানি পণ্যের পরিমাণও বাড়ছে। বাড়ছে রাজস্ব ছাড়ের পরিমাণও। 

এএইচ