হুন্ডির মাধ্যমে বেনাপোল দিয়ে পাচার হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা (ভিডিও)
জামাল হোসেন, বেনাপোল থেকে
প্রকাশিত : ১১:৩৬ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০২৩ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৩৭ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০২৩ মঙ্গলবার
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা পাচার হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। এর জন্য চেকপোস্ট এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশকিছু ট্রাভেল এজেন্সি, কম্পিউটার সেবাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা সাইনবোর্ড যুক্ত ছোট ছোট দোকানপাট। কয়েকটি মানিচেঞ্জারের বিরুদ্ধেও অর্থপাচারের অভিযোগ উঠেছে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যান। কেউ চিকিৎসার জন্য, কেউ বেড়াতে, কেউবা যান ব্যবসায়িক কাজে। ভারতে তাদের মোটা অংকের অর্থের প্রয়োজন হয়। রুপি, টাকা, ডলারসহ নানা মুদ্রা খরচ করেন তারা। আর এরই সুযোগে একটি আন্তর্জাতিক হুন্ডিচক্র দু’পাশের চেকপোস্ট এলাকায় গড়ে তুলেছে মুদ্রাপাচারের সিন্ডিকেট।
ব্যবসায়ীরা জানান, একদিকে ডলারের অভাবে আমরা এলসি খুলতে পারছিনা, অন্যদিকে অবৈধপথে ডলার পাচার আমাদের জন্য কষ্টকর। ব্যবসায়ীরা চায় এটা বন্ধ হয়ে যাক।
গত এক বছরে এই চেকপোস্ট দিয়ে পাচারের সময় ৮৮ হাজার ৪শ’ মার্কিন ডলার, ১০ হাজার কানাডিয়ান ডলার, ৯ লাখ ৮৩ হাজার ভারতীয় রুপি, ৫৭ হাজার সৌদি রিয়াল ও ২৬ লাখ টাকা জব্দ করেছে বিজিবি। এ’সময় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হলেও প্রকৃত হুন্ডি-কারবারীদের ধরা যায়নি।
যশোর ৪৯ বিজিবি কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল বলেন, “সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিনিয়ত বিশেষ টহল কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বেনাপোল চেকপোস্ট এলাকায় হুন্ডি ব্যবসা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে বিজিবির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”
মুদ্রাপাচার রোধে নজরদারি বাড়ানোর কথা বলছে পুলিশও।
বেনাপোল পোর্ট থানা অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, “মাঝে মাঝে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ ব্যাপারে আমরা একাধিক মামলা নিয়েছি এবং তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছি। এই ধরনের সংবাদ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে অভিযান চালাতে পুলিশ তৎপর আছে।”
প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হওয়ায় প্রভাব পড়ছে রিজার্ভে; ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অর্থনীতি।
এএইচ