ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

চুম্বন বিতর্ক : দালাই লামার পাশে তিব্বতি, হিমালয়ান বৌদ্ধ সমিতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫১ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০২৩ মঙ্গলবার

এক শিশু বালককে ঠোঁটে চুম্বন করার পর তাকে ‘জিভ চুষতে’ বলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরে ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়েন তিব্বতি বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা। সমালোচনার মুখে অবশ্য ওই ঘটনার জন্য ক্ষমাও চান নির্বাসিত এই বৌদ্ধ ধর্মগুরু। এই বিতর্কে দালাই লামার পাশে দাঁড়িয়েছে তিব্বতি, হিমালয়ান বৌদ্ধ সমিতিগুলো।

তাদের অভিযোগ, তিব্বতি বৌদ্ধদের এই ধর্মগুরুর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে চীন ‘মন্দভাবে’ ভিডিওটি ছড়িয়েছে।

তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা তার ভাইরাল ভিডিও নিয়ে বিতর্কের পর ক্ষমা চেয়েছেন। এক বালককে চুম্বনের ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে অবস্থান করা তিব্বতি নেতা ও অধিকারকর্মীদের একটি দল দালাই লামার প্রতি তাদের সংহতি ও সমর্থন জানিয়েছে।

যারা ভিডিওটি ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিমালয়ান বৌদ্ধ সমিতি। এ ছাড়া তিব্বতি বৌদ্ধরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্য বিশ্ব নেতাদের সমর্থন চেয়েছেন।

লাহৌল-স্পিতির বিধায়ক এবং একটি বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি বলেছেন, তিনি হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারত সরকারের কাছে ওই ভিডিও ভাইরাল ঘটনার তদন্তও চেয়েছেন।

বৌদ্ধ নেতা ও কংগ্রেস বিধায়ক রবি ঠাকুর বলেন, ‘আমি মনে করি যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি মিডিয়ার দ্বারা বিভ্রান্ত করা হয়েছে। আমি হিমাচল প্রদেশ সরকারকে একটি এসআইটি গঠন করতে বলেছি। আমরা মানহানির মামলা করার জন্য ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর জন্য আমরা তার (দালাই লামা) ব্যক্তিগত অফিস থেকেও অনুমতি নেব। মহামান্য, আমরা ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে মানহানির মামলা করার আগে ধর্মগুরুর কাছ থেকে ধর্মীয় মতামত এবং আশীর্বাদও চাইব।’

হিমাচল প্রদেশের হিমালয় অঞ্চলে নির্বাসিত তিব্বতিদের বৌদ্ধ সমিতিগুলো দালাই লামাকে অপমান করার এই প্রচেষ্টার পিছনে চীনের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করছে।

রবি ঠাকুর বলেন, ‘আমরা আমাদের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য চিঠি লিখব। আমরা বিশ্বজুড়ে সমস্ত বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে আমাদের বৌদ্ধ গুরুর জন্য সমর্থন সংগ্রহ করতে বলব। আমরা নিশ্চিতভাবে সন্দেহ করি যে চীন এর পেছনে রয়েছে। চীন এটা করছে কারণ তারা তিব্বতকে পুরোপুরি দখল করতে চায়।’ 
সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।