চুয়াডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে ২ যুবককে হত্যা
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল ২০২৩ বুধবার
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভালাইপুর বাজারে কাপড়ের দোকানে দর কষাকষিকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে দুই যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভালাইপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আলমসাধু চালক সজল আলী (২৭) ও একই গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে এনজিও কর্মী মামুনুর রহমান মামুন (২৪)।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে ভালাইপুর বাজারের আশরাফুল গার্মেন্টস ও বস্ত্রালয়ে কাপড় কিনতে গিয়ে দরকষাকষি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় ছামেনা খাতুন নামে এক নারীর। এক পর্যায়ে দোকান থেকে বের করে দেওয়া হয় ওই নারীকে। এ ঘটনা ছামেনা খাতুন বাড়িতে ফিরে তার ছেলে টিপুকে জানান।
পরে টিপু তার বন্ধু সজল, মামুনুর রহমান ও পলাশকে সঙ্গে নিয়ে ওই দোকানে গিয়ে বিষয়টি জানতে চায়। সেখানে মীমাংসা করতে গিয়ে দোকান কর্মচারীর পক্ষে হুচুকপাড়ার গ্রামের আকাশ, সানোয়ার, শান্তি ও জাহাঙ্গীরের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে টিপুর বন্ধু মামুন ও সজলের ওপর হামলা চলায় তারা।
এ হামলায় ছুরিকাহত হয়ে গুরুতর আহত হন মামুন ও সজল। পরে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে মামুন ও সজলকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভালাইপুর গ্রামের বাসিন্দা টিপু বলেন, বিকালে আমার মা ভালাইপুর মোড়ের আশরাফুল গার্মেন্টস ও বস্ত্রালয়ে কাপড় কিনতে যান। কাপড়ের দাম জিজ্ঞাসা করলে ৮২ টাকা বলেন কর্মচারী ইমন। আমার মা ৮০ টাকায় কাপড়টি নিতে চাইলে বিষয়টি নিয়ে ওই কর্মচারীর সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। পরে কাপড় পরিমাপের স্কেল দিয়ে আমার মাকে আঘাত করেন ইমন। এমনকি আমার মাকে গালিগালাজ করে দোকান থেকে বের করে দেন তিনি।
পরে সবার উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমিসহ আমার বন্ধু মামুন ও সজল ভালাইপুর বাজারে চা পান করতে যাই। এ সময় ইমন, সানোয়ার ও আকাশসহ কয়েকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসানুর রহমান জানান, নিহত দুই যুবকের পেটে ধারালোর অস্ত্রের গভীর ক্ষত রয়েছে। হাসপাতালে আনার পর জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজল। মামুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী রেফার্ড করা হয়। রাজশাহী নেওয়ার আগেই সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনিসুজ্জামান জানান, নিহত দুই যুবকের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
এএইচ