ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

এক মাসেই ১ লাখ কোটি টাকা লেনদেন মোবাইল ফোনে (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৬ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০২৩ বৃহস্পতিবার

মোবাইল ফোনে আর্থিক লেনদেন বাড়ছে। এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে লেনদেন হয়েছে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা। এ সময়ে দৈনিক সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বা এমএফএসের গ্রাহক ছিল ১৯ কোটি ৬৮ লাখ। একজন একাধিক এমএফএস কোম্পানির সেবা গ্রহণ করায় গ্রাহকের সংখ্যা এতবেশি। মোট গ্রাহকের ১১ কোটি ৩৭ লাখ পুরুষ, ৮ কোটি ২৬ লাখ নারী, আর ৪ লাখ ৬৮ হাজার প্রাতিষ্ঠানিক। 

সব মিলে গত এক বছরে গ্রাহক বেড়েছে ২ কোটি ৫ লাখ। 

কেন্দ্রিয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মাসে এমএফএসে দৈনিক লেনদেন হয় ৩ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা। আর গোটা ফেব্রুয়ারিতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৭ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে ডিজিটাল সেবার পরিধি বাড়ায় এমএফএস লেনদেনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “যাত্রা শুরু ২০১১, তখন কিন্তু কেউ ভাবেনি যে একমাসেই এটা ১ লাখ কোটি টাকার লেনদেন হবে। তখন এটা অকল্পনীয় ছিল। স্কুল থেকেই ফিন্যান্সিয়াল লেনদেনের ব্যাপারে কিভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা যায় শুধু মোবাইলে নয় ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট, এসব বিষয় নিয়ে ছোটখাটো একটা কারিকুলাম থাকা উচিত।’

দেশের এমএফএস গ্রাহকদের মধ্যে ৫৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১০ কোটি ৭৯ লাখ গ্রামাঞ্চলের। বাকি ৪৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ শহরাঞ্চলের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ স্মার্ট দেশ হিসেবে রূপান্তরের পথে যতটা এগিয়ে যাবে, ততোই বাড়তে থাকবে এমএফএস গ্রাহক ও সেবার আওতা।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “টাকা আমরা আউট করি কেন, কিছু কেনার জন্য তো। কেনার পেমেন্টটা যদি আমি মোবাইল দিয়ে করতে পারি তাহলে তো সবজি দোকানদার-রিক্সাওয়ালাকেও দিতে পারবো। পেমেন্টে যখন তাদেরকে সংযুক্ত করতে পারবো তখন হবে আসল অর্থ। যে ২০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে কিন্তু ৮০ শতাংশই অব্যবহৃত রয়েছে। এই ৮০ শতাংশকে ব্যবহার করতে পারলে বাংলাদেশকে ক্যাশলেস হিসেবে গণ্য করতে পারবো।”

দেশে এখন পর্যন্ত ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস দেয়ার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এএইচ