ভাইয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোকছোদ আলীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:২৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২৩ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:০২ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২৩ শুক্রবার
দেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান ভাইয়া গ্রুপ অব ইন্ড্রাষ্টিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, তৎকালীন বৃহত্তর লাকসাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মোকছোদ আলীর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
আলহাজ্জ্ব মোকছোদ আলী কুমিল্লা জেলার লাকসাম পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ডুরিয়া বিষ্ণুপুর গ্রামের জুলফে আলীর কৃতি সন্তান। তিনি বাংলাদেশের শিল্প বিপ্লবের প্রথম সারির একজন শিল্পযোদ্ধা। ৮০-৯০ দশকে বাংলাদেশে হাতে গোনা যে কয়েকজন শিল্প উদ্যোক্তা ছিলেন তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন আলহাজ্জ্ব মোকছোদ আলী। তার হাতে তৎসময়ে ভাইয়া গ্রুপের অধীনে একে একে গড়ে উঠেছিলো প্রায় ৩০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান। একদিকে তিনি ছিলেন শিল্প উদ্যোক্তা, একই সাথে তিনি দানবীর হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
তার ৫৪ বছরের জীবনকালে যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে গেছেন তা থেকে আজও হাজার হাজার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছে।
মোকছোদ আলীর জীবন ছিল বৈচিত্রময়, কঠোর এবং সফল। নাবিস্কো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ফ্যাক্টরি, ঢাকা ম্যাচ, দাদা ম্যাচ, সাত্তার ম্যাচ, ইউনিয়ন ম্যাচ, হামিদিয়া অয়েল অ্যান্ড ক্রিসেন্ট সোপ ফ্যাক্টরি। তার সৃজনশীলতার আরেকটি প্রাণবন্ত উদাহরণ হল প্রোভাতি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এই সমস্ত কোম্পানি এবং শিল্প পরিচালনার মাধ্যমে, তিনি যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে অনেক বেশি অবদান রেখেছেন।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ভাইয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন। ভাইয়া গ্রুপ আজ একটি অনন্য এবং অনুকরণীয় গ্রুপে পরিণত হয়েছে শুধুমাত্র তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং যোগ্য নির্দেশনার কারণে। তার অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ, সরকার সিআইপি হিসাবে সম্মানিত করেছে এবং এর মাধ্যমে তিনি একদিকে দেশের শিল্পক্ষেত্রকে মহিমান্বিত করেছেন অন্যদিকে ভাইয়া গ্রুপের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।
দেশের অগ্রযাত্রায় রাজনৈতিকভাবেও বিরল অবদান রেখেছেন তিনি। ১৯৮৬ সালে তিনি লাকসামের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি তার সুদক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লাকসাম উপজেলাকে একটি আধুনিক উপজেলায় রূপান্তর করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। এর পাশাপাশি তিনি তার সমাজসেবার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন। ১৯৯৫ সালে কালচক্র একুশী মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক এবং কালচক্র স্বাধীনতা স্বর্ণপদক পুরস্কারের মাধ্যমে তার ব্যাপক সামাজিক সেবার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পান।