ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

বাংলাদেশের পরমবন্ধু জাপানের তাকাশি হায়াকাওয়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২৩ শনিবার | আপডেট: ০৩:৫০ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২৩ শনিবার

মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকেই বাংলার মাটি ও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম টান অনুভব করেছিলেন জাপানি নাগরিক তাকাশি হায়াকাওয়া। যে কারণে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন জানিয়ে যুদ্ধ সফলের লক্ষ্যে কাজও করেছেন তিনি। আমৃত্যু পাশে থেকেছেন বাংলাদেশের। এই বদ্বীপের প্রতি তার ভালোবাসা এতোটাই ছিলো যে, বাংলাদেশকে দ্বিতীয় জন্মস্থান হিসেবেই পরিচয় দিতেন তিনি। 

তখন ১৯৭০ সাল, তাকাশি সে সময় জাপানের রাজনীতিতে পুরোদমে সক্রিয়। সে সময় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল পূর্ব বাংলার উপকূলীয় অঞ্চল, মৃত্যু হয়েছিল লাখ লাখ মানুষের। সে সময় বাংলার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে টোকিওর রাস্তায় রাস্তায় চাঁদা তুলেছেন তাকাশি। 

শুরু থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন তিনি। জাপান যাতে বাংলাদেশকে দ্রুত স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয় সেজন্যও কাজ করেছেন বাংলাদেশের এই বিদেশি বন্ধু। 

দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে জাপান সরকারের প্রতিনিধি হয়ে প্রথম বাংলাদেশ সফরে আসেন তাকাশি হায়াকাওয়া। এরপরেই বাংলার প্রতি তার ভালোবাসা আরও গভীর হয়ে ওঠে। সেইসাথে গভীর বন্ধুত্ব হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে। 

সে সময় শেখ মুজিবুর রহমান জাপানের কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ও অর্থনীতির পুনর্বাসন-পুনর্গঠনে যমুনা সেতুর নির্মাণসহ বহুবিধ অর্থনৈতিক সহায়তা প্রত্যাশা করেছিলেন।

সে অনুরোধে যথাযোগ্য সাড়া দিতে জাপানে ফিরেই তাকাশি জাপান-বাংলাদেশ সমিতি গঠন করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে জাপান সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশের জন্য ২ লাখ টন চালসহ নানাবিধ অর্থনৈতিক সহায়তার সংস্থান করেন। 

১৯৭৪ সালে দ্বিতীয়বারের মত বাংলাদেশ সফর করেন তাকাশি। এভাবেই বাংলার সঙ্গে, একইসাথে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বন্ধুত্ব গভীর হতে থাকে তাকাশির।

১৯৭৫ সালে নিজ বাস ভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নিহতের খবরে ভেঙে পড়েছিলেন তাকাশি। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মাত্র চার বছরের বন্ধুত্ব ছিলো তার। কিন্তু অল্প সময়েও সেই বন্ধুত্বের গভীরতা ছিলো কতটা তা উপলব্ধি করা যায়, তাকাশির ভাষণ থেকে। 

বঙ্গবন্ধু নিহতের ১১ দিনের মাথায় টোকিওতে এক শোক সভার আয়োজন করা হয়, সেখানেই এক ভাষণে বঙ্গবন্ধু ও তার বাংলাকে স্মরণ করেছিলেন তাকাশি। 

তাকাশির সেই ভাষণটি সরাসরি তুলে ধরা হল-

“আমার অন্তরঙ্গ ও অত্যন্ত সম্মানিত বন্ধু রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি ছিলেন জাতির পিতা এবং জনগণ যাকে আন্তরিকভাবে বঙ্গবন্ধু বলে সম্বোধন করত, গত ১৫ আগস্ট কতিপয় সামরিক কর্মকর্তা কর্তৃক সংঘটিত সামরিক অভ্যুত্থানে, ৫৬ বছর বয়সে, সপরিবারে নিহত হয়েছেন। এই হৃদয়বিদারক সংবাদটি যখন আমি পাই তখন এক অবর্ণনীয় শোকে ও বেদনায় আমি মুহ্যমান হয়ে পড়ি।

আমাদের দেশেও অতীতে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা একবার ঘটেছিল যা ৫.১৫ র ঘটনা (১৯৩২ সালের ১৫ মে জুনিয়র সামরিক অফিসারদের অভ্যুত্থান) নামে খ্যাত, সেদিন প্রধানমন্ত্রী মি. ইনুকি সেনা অফিসারদের বলেছিলেন, ‘আমি যা বলতে চাচ্ছি, আশা করি তোমরা তা বুঝবে’; উগ্র কর্মকর্তারা বলল, ‘এখন এসব যুক্তির কথার কোনো দরকার নেই’ এবং এ কথা বলেই তারা বয়োবৃদ্ধ প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করে। আমি যখন শেখ মুজিবুর রহমানের নিহত হওয়ার সংবাদ শুনলাম তখন আমার ৫.১৫ র ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। বিদেশি বার্তা সংস্থা পরিবেশিত সংবাদ মতে ১৫ আগস্টের খুব ভোরে মুসলিম প্রার্থনা বা নামাজ পড়ার পর শেখ মুজিবুর রহমান জুনিয়র সামরিক কর্মকর্তাদের আক্রমণের শিকার হন। তার নিজের ব্যক্তিগত বাসভবনের তিনতলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে নামতে তিনি আক্রমণকারীদের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলেছিলেন, ‘ইয়াহিয়া খান, আইয়ুব খান, ভুট্টো (এরা সবাই পশ্চিম পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট) যেখানে আমাকে হত্যা করেনি, সেখানে তোরা এসেছিস আমাকে হত্যা করতে?’ তাকে তৎক্ষণাৎ হত্যা করা হয়। আরেকটি বিদেশি বার্তায় দেখা যায়, ‘প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহীদের অস্ত্রসমর্পণের শর্তে নিজে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে যাওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন, তার এই প্রস্তাবে হ্যাঁ বা না কোনো উত্তর না পেয়েই তাকে নিহত হতে হয়।’ এটা একজন রাজনীতিকের সবচেয়ে মর্মান্তিক পরিণতি।

শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ছিল মূলত জাতির মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য উৎসর্গীকৃত। তিনি নিজের জীবনকে পাখির পালকের মতো হালকা মনে করতেন। তিনি জীবনে আটবার গ্রেপ্তার হন, কারাগারে কাটান সাড়ে দশ বছর, মুক্তিযুদ্ধের সময় তার সহযোগীদের পরিবর্তে তিনি নিজেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হন, সেখানে ফাঁসিতে ঝোলানোর দু ঘণ্টা আগে অলৌকিকভাবে বেঁচে যান, তিনি এভাবেই জাতীয় বীর হিসেবে এক সগৌরব জীবনের অধিকারী হয়ে জাতির পিতার সম্মানে সমাসীন হন।

 মেধা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করে দেশের প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ করে ঢাকায় লক্ষ জনতার সামনে তিনি এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। তার সেই বক্তৃতার ভাষা আমাকে আপ্লুত করে। এখনো তা আমার স্মৃতিতে সমুজ্জ্বল। তিনি বলেছিলেন, ‘যে মুহূর্তে আমি বুঝব জনগণের স্নেহ ও ভালোবাসা আমার ওপর নেই সে মুহূর্তেই আমি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকব। তবে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশের সকল মানুষের মুখে হাসি না ফোটানো পর্যন্ত আমি আমার জীবন উৎসর্গ করে যাব।’

দেশ ও জাতির প্রতি শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ও তার মন অনুধাবন করার জন্য অনেক কিছু বিচার-বিশ্লেষণের প্রয়োজন হবে, উপর্যুপরি বন্যা, মূল্যস্ফীতি ও আরও কিছু সমস্যা, যার সঙ্গে যোগ হয় কিছু শ্রেণির রাজনৈতিক নেতার দুর্নীতি, এসব কারণে সবার মুখে হাসি ফোটানোর সেই প্রতিশ্রুতি-প্রত্যয় পূরণ না করেই স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠার মাত্র চার বছরের মাথায় তাকে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হলো, যদিও অনেক কিছুই এখনো স্পষ্ট নয়।

শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্যলাভ ও তার সাথে আমার নিবিড় বন্ধুত্বের সূত্রপাত চার বছর আগে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আমার ব্যক্তিগত সমর্থন-সহানুভূতি থাকায়, দেশটির স্বাধীনতালাভের অব্যবহিত পরে জাপান সরকারের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আমি ১৯৭২ সালের ১৪ মার্চ বাংলাদেশ সফরে যাই। সেবারই আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম দর্শন লাভ করি তার কার্যালয়ে। সে মুহূর্তে তিনি আমার কাছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী বীর হিসেবে প্রতিভাত হননি, হয়েছিলেন একজন অতি মহান উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব হিসেবে। একটা আনন্দঘন অনুপম পরিবেশে আমি তার ব্যক্তিগত ঔদার্য ও মহত্ত্বে মুগ্ধ হয়েছিলাম। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান জাপানের কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ও অর্থনীতির পুনর্বাসন-পুনর্গঠনে যমুনা সেতুর নির্মাণসহ বহুবিধ অর্থনৈতিক সহায়তা প্রত্যাশা করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের সে অনুরোধে যথাযোগ্য সাড়া দিতে দেশে ফিরেই আমি জাপান-বাংলাদেশ সমিতি গঠন করি এবং তাৎক্ষণিকভাবে জাপান সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশের জন্য ২ লাখ টন চালসহ নানাবিধ অর্থনৈতিক সহায়তার সংস্থান করি। বলার অপেক্ষা রাখে না প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এতে বিশেষ খুশি হন। আর তার প্রিয় প্রকল্প যমুনা সেতুর ব্যাপারে জাপানি কারিগরি বিশেষজ্ঞের একটি দল গত দুবছর যাবৎ সমীক্ষার কাজে নিয়োজিত আছে। এসব কারণ ও উপলক্ষে আমাদের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব নিবিড় থেকে নিবিড়তর হচ্ছিল।

দুবছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রীয় সফরে জাপানে আসেন। জাপানের সরকার ও জনগণ গণমানুষের এই নেতা ও মহান ব্যক্তিত্বকে অত্যন্ত সমাদরে ও শ্রদ্ধায় উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়। অনেক কিছু আয়োজনের মধ্যে টোকিওতে জাপান-বাংলাদেশ সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা সভার কথা আমার স্মৃতিতে এখনো সমুজ্জ্বল। সানফ্লাওয়ার জাহাজে হাস্যোজ্জ্বল শেখ মুজিব, তার পুত্র ও কন্যার তৃপ্তির হাসি এবং আমার নিজের নির্বাচনী এলাকা ওকায়ামা প্রিফেকচারে তিনি উৎফুল্ল জনতার যে গণসংবর্ধনা পেয়েছিলেন তার ছবি আমার চোখে এখনো ভাসছে। জাপান সফরের সময় শেখ মুজিবুর রহমান স্বভাবগতভাবেই ইচ্ছাপ্রকাশ করে কয়েকবার বলেন, তিনি জাপানের মডেলে তার বাংলাদেশকে গড়ে তুলবেন।

গত বছরের আগের বছরে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ সফরে যাই। সে সময়কার অনেক স্মৃতি আমার মনের মণিকোঠায় জমা হয়ে আছে আর সেখান থেকে মহান ব্যক্তিত্ব মুজিবের কথা আমার বারবার মনে ভেসে উঠছে।

যেদিন আমরা ঢাকায় পৌঁছাই, সেদিন প্রধানমন্ত্রীর অফিসে তার সঙ্গে আমাদের সৌজন্য সাক্ষাতে যাওয়ার কথা কিন্তু আমাদের বিস্ময়াভিভূত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান কূটনৈতিক আচার উপেক্ষা করে তার মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে নিজে আমার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে এলেন সাক্ষাৎ দিতে!

আমরা বলতে পারি এটাই ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের বন্ধুত্ব স্থাপনের এক অনুপম উপায়। অধিকন্তু বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে যেখানেই আমি গিয়েছি উৎফুল্ল জনতা আমাকে অনাবিল উষ্ণতায় ও প্রগাঢ় ভক্তি শ্রদ্ধায় ‘বাংলাদেশের আসল বন্ধু’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আমাকে অভিবাদন জানিয়েছে। সব জায়গাতেই তারা আমাকে অজস্র ফুল দিয়ে আমাকে বরণ করত, ফুলের মালায় আমার চিবুক পর্যন্ত ঢেকে যেত। আমি নিশ্চিত যে আমার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের আন্তরিক আগ্রহ ও বিবেচনার কারণেই সর্বত্র আমার এই সম্মান ও সমাদর।

সে সময় আমার অবস্থানকালে মি. আবদুর রউফ, এমপি আমার সার্বিক দেখাশুনার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সারাক্ষণ আতিথেয়তায় উদগ্রীব থাকতেন। তিনি আমাকে জানালেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক সকালে আমার কাছে জানতে চান হায়াকাওয়া সাহেবের রাতে ভালো ঘুম হয়েছে তো!’ তার পর্যায় থেকে এত সূক্ষ্ম ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ার আন্তরিকতায় আমি বিমুগ্ধ হয়েছি।

আমার মন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি কখনো মুছে যাওয়ার নয়। সারাক্ষণ তার কথা আমার মনের আঙিনায় ঘোরাফেরা করে। এই মহান জননায়কের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যদিও স্বল্পকালের, মাত্র চার বছরের, এই মুহূর্তে আমি তার সেই পবিত্র স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তার ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের বিদেহী আত্মার মঙ্গল কামনা করি, তাদের জন্য স্বর্গবাস প্রার্থনা করি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য, যাদের শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত ভালোবাসতেন, এই প্রার্থনা ও প্রত্যাশা করি তারা যেন এই দুঃখজনক মর্মান্তিক ঘটনায় দিশেহারা হয়ে অন্ধকার ভবিষ্যতের পথে না গিয়ে, তাদের দেশকে রবীন্দ্রনাথের ভাবনার মতো সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে নিজের পায়ে দাঁড়াবার শক্তি ও সাহস পায়।”

১৯৮২ সালের ডিসেম্বর মাসে ৬৬ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন তাকাশি হায়াকাওয়া। বাংলাদেশের মাটিতে তার দেহাবশেষের এক অংশ জমা রাখার ব্যাপারে তিনি উইল করে গিয়েছিলেন। যেকারণে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সহযোগিতায় ঢাকায় এক বৌদ্ধমঠে তার দেহাবশেষের একাংশ সমাধিস্থ করার ব্যবস্থা করেন তাকাশির স্ত্রী। 

এসবি/