দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ, মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা শুরু (ভিডও)
সমর ইসলাম, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৭ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০২৩ রবিবার
আজ মধ্যরাত থেকে দেশের পাঁচটি ইলিশের অভয়াশ্রম থেকে ওঠে যাচ্ছে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা। বিভিন্ন নদীর প্রায় চারশ’ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জেলে পাড়ায় উৎসবের আমেজ। দু’মাস পর নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাওয়ায় জাল নিয়ে নদীতে নামতে প্রস্তুত জেলেরা।
উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে পয়লা মার্চ থেকে দেশের ইলিশের ছয়টি অভয়াশ্রমের মধ্যে পাঁচটিতে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার।
চর-ইলিশার মদনপুর থেকে ভোলার চরপিয়াল পর্যন্ত মেঘনার ৯০ কিলোমিটার, ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চরর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর ১শ’ কিলোমিটার, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে হাইমচর পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার, লক্ষ্মীপুর থেকে চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনার ৩০ কিলোমিটার, শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে ভেদরগঞ্জ পর্যন্ত নিম্নপদ্মার ২০ কিলোমিটার এবং বরিশালের হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ ও সদর উপজেলায় মেঘনার প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ নিষেধাজ্ঞা চলে।
নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৪০ কেজি করে, চার দফায় ১৬০ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন অলস সময় কাটিয়ে আবারও নদীতে জাল নিয়ে নৌকা ভাসাবেন জেলেরা। তাই কর্মচঞ্চল জেলেপাড়া।
একজন জেলে বলেন, “সরকারি নিষেধাজ্ঞা আমরা পালন করছি। এক তারিখ আল্লাহ দিলে আমার নদীতে নামবো।”
আরেক জেলে বলেন, “দুই মাস অভিযান শেষ এক তারিখে, আল্লাহ দিলে নদীতে নামবো।”
জাটকা সংরক্ষণে জেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও জেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশের উৎপাদন ৬ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে মৎস্য বিভাগ।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, “সকলে মিলে আমরা অভিযান সফল করেছি। আগামীমে আশা করছি ছয় লক্ষ মেট্রিকটন ইলিশ উৎপাদন সম্ভব হবে।”
নিষেধাজ্ঞার সময় চাঁদপুরে ১৫৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ৭৩৭টি অভিযানে ৩৬৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে।
এসবি/