পরাজয় যখন বিজয়ের ভিত্তি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:১৫ পিএম, ২ মে ২০২৩ মঙ্গলবার
দৌড়ের চার মিনিটের রেকর্ড ভাঙার উদযাপনে একসঙ্গে রজার ব্যানিস্টার ও জন ল্যান্ডি
একজন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে বিশ্বাস। ভালোত্বে বিশ্বাস, ভালো হওয়ার বিশ্বাস, ভালো ভাবনায় বিশ্বাস।
কারণ বিশ্বাস না থাকলে কখনো একজন মানুষ ভালো ভাবতে পারে না। বিশ্বাস মানুষকে এগিয়ে দেয়, ভালো ভাবনা মানুষকে এগিয়ে দেয়। আর সংশয় দ্বিধাদ্বন্দ্ব অনেক অনেক সম্ভাবনাকেও নস্যাৎ করে দেয়।
আমি পারি আমি পারব এই বিশ্বাস যে সাফল্যের জন্যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ যুগে যুগে নিজের শক্তির ওপর বিশ্বাসই ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ইতিহাসকে পাল্টে দিয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ছিল না, ছিল বিশ্বাস!
আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধের দিকে তাকাই, ঢিল দিয়ে যে ট্যাঙ্কের মোকাবেলা করা যায়, এয়ারগান নিয়ে যে ট্যাঙ্কের সামনে যাওয়া যায় এবং ট্যাঙ্কে ঢিল মারা যায়, এটা মেরে যে পরাজিত করা যায় এটা বাইরের মানুষ দুনিয়ার মানুষ বিশ্বাস করে নাই কিন্তু আমরা বিশ্বাস করেছিলাম।
এবং যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তাদের অস্ত্র ছিল না, ছিল বিশ্বাস। তারা বিশ্বাস করতেন শত্রুর অস্ত্র আমার অস্ত্র, শত্রুর রসদ আমার রসদ এবং এই বিশ্বাস নিয়েই তারা ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, ইতিহাসকে পাল্টে দিয়েছেন।
আমি পারব এই দৃঢ় বিশ্বাসই হচ্ছে, সকল সাফল্যের ভিত্তি। পারব বলে বিশ্বাস করলে আপনি অবশ্যই পারবেন।
আমাদের উদাহরণটি ছিল এইভাবে, হাজার বছর ধরে দৌড়বিদরা চার মিনিটে এক মাইল দৌড়ানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, এটা অসম্ভব। দৈহিক গঠনের কারণেই তা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। মানুষের হাড়ের কাঠামো ও ফুসফুসের গঠন দুটোই এ সাফল্যের পথে অন্তরায় বলে বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
দু’হাজার বছর পার হয়ে গেল এভাবেই। তারপরই এলো এক শুভদিন। একজন মানুষ প্রমাণ করলেন যে, বিশেষজ্ঞদের এ ধারণা ভুল।
তারপর ঘটল আরও অলৌকিক ঘটনা। রজার ব্যানিস্টার প্রথম চার মিনিটে এক মাইল দৌড়ের রেকর্ড স্থাপন করার ছয় সপ্তাহের মধ্যেই জন ল্যান্ডি পুরো দুই সেকেন্ড কমে এক মাইল দৌড়ালেন।
পরে গত ২১ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত যারা চার মিনিটের এই রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন তাদের সংখ্যা হচ্ছে এক হাজার ৬৬৩ জন।
চার মিনিটে দৌড়ানোকে সবাই অসম্ভব মনে করত
আমরা যে বলি যে, এই ক্ষেত্রে বয়সও কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়। চার মিনিটে সবচেয়ে কনিষ্ঠ দৌড়বিদ হচ্ছেন- নরওয়ের জ্যাকব ইঙ্গে ব্রিকসন। তিনি ১৬ বছর বয়সে এ রেকর্ড স্থাপন করেন।
রজার ব্যানিস্টারের চেয়ে এই পর্যন্ত সিক্সটি ইয়ার্সে শুধু কমানো গেছে ১৭ সেকেন্ড। যিনি সবচেয়ে কম সময়, তিন মিনিট ৪৩ সেকেন্ড, তিনি হচ্ছেন মরক্কোর দৌড়বিদ হিশাম, ২৪ বছর বয়সে। তিন মিনিট ৪৩ সেকেন্ড, ১৭ সেকেন্ড কম, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে কমতম সময়। এটাই এখন পর্যন্ত রেকর্ড আছে।
এই রজার ব্যানিস্টার, তার জন্ম হচ্ছে ২৩শে মার্চ ১৯২৯ সালে। এখন থেকে ৯২/৯৩ বছর আগে। রজারের জন্ম হচ্ছে শ্রমজীবী পরিবারে। তিনি স্কুলে যখন ছিলেন তখন দৌড়ে অংশ নিয়ে আবিষ্কার করলেন যে তার দৌড়ের ক্ষেত্রে মেধা আছে। পর পর তিনবার দৌড়ে তিনি প্রথম হলেন সেই কিশোর বয়সে। তিনি এরপরে মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করেন, এবং ডাক্তার হন ১৯৫৪ সালে। এবং নিউরোলজিস্ট হন ১৯৬৩ সালে।
তো বলবেন যে, ঐ সময় দৌড়ের একটা প্রতিযোগিতা ছিল। এবং সবাই অসম্ভব কেন মনে করতো চার মিনিটে দৌড়ানো যাবে না? তখনকার যারা খ্যাতিমান দৌড়বিদ ছিলেন ইউরোপের, তারা সবাই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন, এবং ৫০-এর দশকে তিন জন দৌড়বিদ ছিলেন সিডনি উডারসন, আর্নি অ্যান্ডারসন এবং গান্ডার হেক। দুইজন সুইডিশ এবং একজন ইংরেজ। এদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলত সেই সময়, ৫০-এর দশকে। কেউ চার মিনিট ছয় সেকেন্ড, অন্যজন চার মিনিট চার সেকেন্ড, আরেকজন চার মিনিট দুই সেকেন্ড। কিন্তু এর নিচে, দুই সেকেন্ডের কমে আর কেউ নামতে পারছিলেন না।
সুইডিশ ক্রীড়াবিদ গান্ডার হেক চার মিনিট এক সেকেন্ডে এক মাইল দৌড়ের রেকর্ড সৃষ্টি করেন। গান্ডার হেক নিজের এই চার মিনিট এক সেকেন্ডর এই রেকর্ড ভাঙার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করেন, বারবার। কিন্তু এক সেকেন্ডের নিচে আর নামতে পারছিলেন না।
এবং এরপরে তাদের মনে হলো যে, ইটের দেয়াল ভেঙে যেরকম কেউ দৌড়াতে পারে না, সেইরকম চার মিনিটের যে এই যে ব্যারিয়ার, এই ব্যারিয়ারও কারো পক্ষে ভাঙা সম্ভব নয়। এবং নয় বছর দৌড়বিদরা চেষ্টা করেছে এবং পারে নি। যার ফলে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গেল।
বিশেষজ্ঞরা কেউ কেউ বলছিলেন যে, পায়ের পেশির গঠনের কারণে এটা সম্ভব না, কেউ কেউ বলছিলেন যে, ফুসফুসের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী এটা অসম্ভব। এমন যদি কেউ চেষ্টা করে তাহলে তার ফুসফুস ফেটে যেতে পারে।
রজার ব্যানিস্টার কীভাবে পেরেছিলেন?
রজার যেহেতু মেডিকেলের ছাত্র, ডাক্তারি পড়ছেন, তার কাছে এটা যুক্তিসঙ্গত মনে হলো না।
রজারের দৌড়াতে ভালো লাগে এজন্যে তিনি দৌড়ান। দৌড়ানোটা ছিল তার ভালবাসা। দৌড়ে কিন্তু তিনি এক টাকাও উপার্জন করেন নাই। এটা তার লাভ, এটা তার ভালবাসা।
১৯৪৮ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অলিম্পিক হলো এবং অলিম্পিকের দৌড় দেখে তিনি অনুপ্রাণিত বোধ করলেন। এবং পরের অলিম্পিক মানে ১৯৫২ সাল, চার বছর পরে, অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রচুর প্রস্তুতি। এবং এই চার বছর নানা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, ট্রেনিংয়ে অংশ নেন, এবং তিনি চিন্তা করলেন যে, ঠিক আছে আবার মেডিকেল পড়াশোনা করে দৌড়াদৌড়ি করা খুব কঠিন ব্যাপার।
সেজন্যে তিনি করলেন যে, ৫২ সালের যে প্রতিযোগিতা হবে সেই প্রতিযোগিতায় সোনা জিতে তিনি অবসর নেবেন, তিনি আর দৌড়াদৌড়ি করবেন না। ৫২ সালে তিনি অলিম্পিক দৌড় প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অধিকার করলেন। সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ কিছুই পেলেন না। না সোনা না রূপা না ব্রোঞ্জ, কিছুই পেলেন না।
তিনি দুই মাস বিষণ্নতায় ভুগলেন। এবং চিন্তার মাঝে কাটালেন যে, দৌড়বিদ হিসেবে তার ক্যারিয়ার ছেড়ে দেয়া উচিত কিনা। কারণ মেডিকেল পড়াশোনা এবং দৌড়ানো, দুটো একসাথে চালানো তার কাছে কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিল।
আসলে আমরা যে বলি যে ব্যর্থতা হচ্ছে সাফল্যের চাবিকাঠি সাফল্যের ভিত্তি। ব্যর্থতার মাঝে সুপ্ত আছে সাফল্যের বীজ। তিনি বলে যে না, পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে আমি বিদায় নেব না।
তখন তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে এখন অলিম্পিক হতে চার বছর বাকি। চার বছর পর্যন্ত বডির যে ফিটনেস, এই ফিটনেস নাও থাকতে পারে। কারণ পড়াশোনারও চাপ আছে। অতএব চার মিনিটের যে রেকর্ড, এই রেকর্ড আমি ভাঙব।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি
আসলে যে-কোনো ব্যর্থতায় একজন মানুষের মনে এই প্রত্যয় সৃষ্টি করা উচিৎ। কারণ ব্যর্থতা শেষ কথা হতে পারে না। সাফল্য হচ্ছে শেষ কথা।
তার মনে হতে থাকে যে চার মিনিট এক সেকেন্ডে যদি এক মাইল দৌড়ানো সম্ভব হয়, আর দুটো সেকেন্ড কমাতে পারলেই তো রেকর্ড হয়ে গেল। আমাকে তো বেশি কিছু করতে হবে না, শুধু দুটো সেকেন্ড কমাতে হবে। দেখেন, দৃষ্টিভঙ্গিটা হচ্ছে খুব ইম্পর্ট্যান্ট। একটা হচ্ছে বিজয়ীর দৃষ্টিভঙ্গি, আরেকটা হচ্ছে পরাজিতের দৃষ্টিভঙ্গি।
মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয় নিয়ে আমাদের মনে কোনো সন্দেহ ছিল না। পোশাক ছিল না বুট ছিল না ইউনিফর্ম ছিল না হেলমেট ছিল না। কী ছিল? বিশ্বাস ছিল বিজয়ের।
যে-কোনো ক্ষেত্রে, কিচ্ছু দরকার নাই। আরে গজারির চলা, কি বলে, লাকড়ি। গজারি কাঠের লাকড়ি। যুদ্ধ শুরু করার জন্যে এই লাকড়িই যথেষ্ট। যদি কারণটা ন্যায্য হয়, যদি কারণটা আত্মসম্মানের হয়, যদি কারণটা মুক্তির হয়, যদি কারণটা কল্যাণের হয়।
প্রাণান্ত প্রয়াস ও অর্জন
খুব সহজ ইকুয়েশন যে, আমাকে কমাতে হবে মাত্র দুই সেকেন্ড। লক্ষ্য নির্ধারণ করে চেষ্টা শুরু করলেন। দুই বছর চেষ্টা চলল, টু ইয়ার্স। হচ্ছে না।
এর মধ্যে আরো দুইজন দৌড়বিদ এই প্রচেষ্টায় নেমে গেলেন। একজন হচ্ছেন ওয়েস্ট সেন্টি, আরেকজন হচ্ছেন জন ল্যান্ডি। তিনজন প্রতিযোগী হলো। প্রত্যেকের লক্ষ্যই হচ্ছে দুই সেকেন্ড কমানো। অর্থাৎ চার মিনিট এক সেকেন্ড না, তিন মিনিট ৫৯ সেকেন্ড।
৬ মে ১৯৫৪ সাল, অক্সফোর্ডে প্রতিযোগিতার আয়োজন। তিনি অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এবং রজারের দৌড়ের কৌশল ছিল তিনি প্রথমদিকে শক্তিকে সংহত রাখতেন। অর্থাৎ নরমাল পেসে দৌড়াতেন, এবং শেষ ধাপে গিয়ে গতি বাড়িয়ে দিতেন সর্বোচ্চ। শেষ মুহূর্তে যখন দৌড়ের গতি বাড়াতেন, মনে হতো যে একেবারে বিদ্যুতস্ফুলিঙ্গের মতন তিনি গতি পেয়ে যেতেন।
তো রেস শেষ। বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হলো ‘রজার ব্যানিস্টার। ঘোষক তিন মিনিট ঘোষণা করতেই হৈ হুল্লা এবং হাততালি পড়তে শুরু করল, বাকি ঘোষণা শোনা গেল না। তিন মিনিট মানে হচ্ছে চার মিনিট পর্যন্ত যায় নি। দর্শকদের আর শোনার তো কোনো প্রয়োজন নাই। তিনি তিন মিনিট ৫৯.৪ সেকেন্ডে এক মাইল দৌড়ালেন।
একটা নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো। মানুষ যা অসম্ভব মনে করত এর আগ পর্যন্ত, যখন রজার বিশ্বাস করলেন যে সম্ভব এবং করবেন, তখন সেটা সম্ভব হলো। তিনি সম্ভব করলেন। এবং যখন অসম্ভব মনে করা হতো কেউ পারে নি। যখন সম্ভব মনে করা হলো এরপরে হিড়িক পড়ে গেল।
রজারের পরে জন ল্যান্ডি মাত্র ছয় সপ্তাহে রেকর্ড ভঙ্গ করলেন, ছয় সপ্তাহে। জন ল্যান্ডি এরপরে জোক করে বলেন, এরপরে এটা হিমালয় বিজয়ের মতো হয়ে যাবে। শত শত দৌড়বিদ চার মিনিটের রেকর্ড ভাঙবেন। এবং আমরা দেখেছি ১৬৬৩ জন এই রেকর্ড ভেঙেছেন।
রজার যে নতুন রেকর্ড স্থাপন করতে পেরেছিলেন, তার কারণ ছিল কিন্তু ব্যর্থতা। অলিম্পিকে তিনি কোনো মেডেল পান নাই। যদি অলিম্পিকে কোনোভাবে ব্রোঞ্জও পেয়ে যেতেন তাহলে দ্যাট উড বি হিজ এন্ড, এবং চার মিনিটের রেকর্ড ভাঙার যে কৃতিত্ব এটা তিনি অর্জন করতে পারতেন না। তিনি নিজেই বলেছেন যে ভাগ্যিস অলিম্পিকে সোনা জিতি নাই, জিতলে আমি সে সময়ই অবসর গ্রহণ করতাম।
আসলে বিজয়টা সবসময় বিজয় না, পরাজয়টা আরো বড় বিজয়ে রূপান্তরিত হয় যদি তিনি বিশ্বাস করেন এবং লক্ষ্যস্থির করতে পারেন, যে লক্ষ্যটা কী। এই লক্ষ্যস্থির করাটা হচ্ছে আরো বড় বিজয়ে রূপান্তরিত হয়।
আসলে যে রেসে রজার ব্যানিস্টার জিতেছেন, সেই রেসটা কিন্তু ল্যান্ডি জিততে পারতেন! ল্যান্ডি দেখতে গিয়েছিলেন যে রজার কত দূরে আছে একটু দেখি আর কি! উনি বাম দিকে তাকাতেই ডান দিক দিয়ে রজার ল্যান্ডিকে অতিক্রম করে চলে যান।
আসলে জীবনে সবসময় অন্যকে দেখতে যাবেন না। অন্যে এগুলো না পিছালো এটা জেনে আপনার কোনো লাভ নাই। আপনার লাভ হচ্ছে আপনি এগুলেন না পিছালেন।
সবসময় একজন যিনি প্রাজ্ঞ, যার প্রজ্ঞা রয়েছে, তিনি অন্যের দিকে তাকান না। অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হন না, অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হন না, অন্যের দ্বারা প্রলুব্ধ হন না।
তিনি সবসময় সেটাই করেন যা তিনি করবেন বলে ঠিক করেছেন। অতএব সবসময় নিজের লক্ষ্যটাকে ঠিক করবেন, লক্ষ্যপানে এগিয়ে যাবেন, লক্ষ্যে এগোনোর জন্যে যা যা করা দরকার সেটা করবেন। অন্যে কে কী করছে না করছে, অন্যের দিকে তাকাতে যাবেন না। এবং অন্যের দিকে যখনই তাকাতে যাবেন, তখনই আপনি পরাজিত হবেন, তখনই আপনি হেরে যাবেন, তখনই আপনি পিছিয়ে যাবেন।