প্রচার নেই রাজধানীর বহুতল পার্কিং ব্যবস্থার (ভিডিও)
মানিক শিকদার, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:১১ পিএম, ৬ মে ২০২৩ শনিবার | আপডেট: ০১:১২ পিএম, ৬ মে ২০২৩ শনিবার
রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল পার্কিং ব্যবস্থা। সিটি কর্পোরেশন ও বেসরকারী উদ্যোগের এসব পার্কিং ব্যবহার করে খুশি গাড়ির মালিক ও চালকরা। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এই বহুতল পার্কিং অপ্রতুল; তার উপর প্রচারে অভাবে অনেকেই জানেন না এগুলো সম্পর্কে।
রাজধানীর মতিঝিলের ৩৭ তলা সিটি ভবন। ভবনটির ৭ তলা পর্যন্ত পার্কিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে কয়েক বছর ধরে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালনা করছে জাহান এন্টারপ্রাইজ।
ই-টিকেটের মাধ্যমে ঘন্টা ভিত্তিক কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল-সহ হালকা যানবাহন রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে এই সিটি ভবনে।
জাহান এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার ম্যানেজার আব্দুর রহমান হাওলাদার বলেন, “ঘণ্টা হিসেবে গাড়ি রাখা হয়। প্রথম ঘণ্টা ৩০ টাকা, পরবর্তীতে প্রতি ঘণ্টা ১০ টাকা করে।”
জাহান এন্টারপ্রাইজের হিসাব বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “নিরাপত্তার দিক থেকে খুব ভালো, আমাদের ৪৮টি ক্যামেরা রয়েছে। যার মাধ্যমে ৪তলা থেকে শুরু করে ১০তলা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা হয়।”
নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি চালকদের বিশ্রাম, বিনোদন আর প্রার্থনার ব্যবস্থাও রাখায় সন্তুষ্ট চালকরা।
চালকরা জানান, সিটি সেন্টারে গাড়ি রেখে আমরা নিরাপদে থাকতে পারছি। সেই সঙ্গে রাস্তাঘাটও ফাঁকা রইলো, যানজটমুক্ত হলো।
প্রায় সাড়ে তিনশ’ গাড়ি রাখার জায়গা থাকলেও বেশ কিছু পার্কিং ফাঁকা পড়ে আছে- এজন্য প্রচারের অভাবকেই দায়ী করছেন গাড়ি মালিক ও চালকরা।
গাড়ির মালিকরা জানান, মাইকিং কিংবা পোস্টারিং করে যদি ভালোভাবে প্রচার করা যায় তাহলে সবারই সুবিধা হবে।
মতিঝিলেই সাধারণ বীমা অফিসের উল্টো দিকের এমটি ভবনে ছয় তলা পর্যন্ত এই পার্কিংটিও বেশ জনপ্রিয়।
এমটি ভবন কার পার্কিং কাউন্টার ম্যানেজার সাব্বির আলম বলেন, “১৯৮৭ সালে বিল্ডিং হওয়ার পর থেকে এখানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় ৩শ’ গাড়ি রাখার ব্যবস্থা এখানে আছে।”
দৈনিক ও মাস চুক্তিতে এখানে গাড়ি রাখতে পারায় নানা ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেয়েছেন চালকরা।
চালকরা জানান, এরকম সুব্যবস্থা থাকলে অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো। এরকম পার্কিং সব জায়গায়ই দরকার।
ধানমন্ডির অরচার্ড পয়েন্টের আন্ডারগ্রাউন্ড এবং ওপরের দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত, উত্তরার গ্রীণ লাইফ কার পার্কিং সেন্টারের চতুর্থ তলা পর্যন্ত, ছয় তলা বিশিষ্ট রমনা মাল্টিলেভেল কার পার্কিং সিস্টেম, গুলশান-২ এর পিংক সিটি কার পার্কিং সেন্টারের চার তলা, গুলশান-১ নম্বরের জব্বার টাওয়ারের পেছনে সানমুন কার পার্কিং সেন্টারের ছয় তলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বহুতল পার্কিং গড়ে উঠলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
তেজগাঁও জোনের পুলিশ পরিদর্শক (ট্রাফিক) তারিকুল আমল বলেন, “প্রত্যেকটা বিল্ডিংয়ে পার্কিং ব্যবস্থা বিকল্প কিছু নাই।”
রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় এমন পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি সড়কে শৃংখলা ফিরলে উন্নয়নের সুফল পাবে নগরবাসী। এরকম পার্কিং যদি রাজধানী বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলা যায় তাহলে যানজট অনেকাংশেই কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ