ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারির আরও এক চালান মোংলায়

মোংলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:২৫ পিএম, ৬ মে ২০২৩ শনিবার

পাবনায় নির্মানাধীণ রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারি পণ্যের আরও একটি চালান মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। 

শনিবার (৬ মে) দুপুর ১২টায় রাশিয়া থেকে এই পণ্য নিয়ে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর ফেলে ভানুয়াতু পতাকাবাহী ‘এমভি আনকা সান’ জাহাজ। 

জাহাজটিতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক হাজার ৬২৭ দশমিক ৯০৪ মেট্রিক টন পণ্য আনা হয়েছে। দুপুরেই এই পণ্য খালাস শুরু হবে জানায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ। এছাড়া জাহাজটিতে ৯ জন তুর্কি ক্রু (নাবিক) রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

এমভি আনকা সান জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কনভেয়ার শিপিং এজেন্টের খুলনার ব্যবস্থাপক অপারেশন সাধন কুমার চক্রবর্তী বলেন, গত ৩ এপ্রিল রাশিয়ার নোভরোসিস্ক বন্দর থেকে সরাসরি মোংলা বন্দরে পণ্য নিয়ে ছেড়ে আসে এই বিদেশি জাহাজ। এতে ৬৩০ প্যাকেজের এক হাজার ৬২৭ দশমিক ৯০৪ মেট্রিকটন পণ্য আসে। এসব পণ্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে খালাস করে সড়ক পথে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। 

এ মাসে আরও দুটি বিদেশি জাহাজে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারিজ পণ্য আসবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল ২ হাজার ৫২২ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে রুশ পতাকাবাহী জাহাজ ' এমভি ইয়ামাল ওরল্যান জাহাজ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে মোংলা বন্দরের এখন স্বর্ণযুগ চলছে। এই বন্দর দিয়ে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ দেশের চলমান প্রায় সব মেগা প্রগল্পের পণ্য খালাস হচ্ছে। পদ্মা সেতুর পণ্যও এই বন্দর দিয়ে খালাস হয়েছে। 

আধুনিক পদ্ধতিতে দ্রুত দক্ষ জনবল দিয়ে এসব পণ্য খালাস হওয়ায় দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীরা এই বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন বলে জানান তিনি।

এদিকে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জ্বালানি (ইউরেনিয়াম) উৎপাদন প্রস্তুতি সনদ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। শুক্রবার (৫ মে) দুপুর ২টায় রাশিয়ার নভোসিভিরসক শহরে রাষ্ট্রীয় সংস্থা রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান টিভিএল’র সদর দপ্তরে এই চুক্তি হয়। 

প্রকল্প কর্মকর্তারা জানায়, এ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের অগ্রযাত্রায় আরও এক নতুন মাইলফলক সৃষ্টি হলো।

এএইচ