ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-২ জারি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৪ পিএম, ১২ মে ২০২৩ শুক্রবার

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে। এ ঘোষণার পরপরই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-২’ জারি করেছে।

শুক্রবার (১২ মে) বিকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আবহাওয়া অফিস চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে। এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব “অ্যালার্ট-২” জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় থাকা লাইটার জাহাজগুলোকে সদরঘাট থেকে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকার দিকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেটি ও বহির্নোঙরে থাকা জাহাজগুলোকে ইঞ্জিন চালু রাখতে বলা হয়েছে যাতে তাৎক্ষণিক চলাচল করতে পারে। তবে জেটিতে এখনও পণ্য খালাস অব্যাহত আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় থেকে চট্টগ্রাম বন্দরকে রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি চলমান আছে। আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনা মেনে নিজস্ব অ্যালার্ট জারি করবো।’

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, আবহাওয়া অফিস ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-২ জারি করে। তবে আবহাওয়া অফিস ৫ নম্বর থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত বিপদ সংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়। তখন বহির্নোঙর ও জেটিতে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেটি থেকে জাহাজগুলো সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়। তখন বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। জেটি, যন্ত্রপাতি ও পণ্যের সুরক্ষার জন্য ১৯৯২ সাল থেকে এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

সূত্র: বাসস
এমএম/