দোয়েল-কোয়েল-ময়না মায়ের সঙ্গে বাড়িতে, টিয়া হাসপাতালে
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:২০ এএম, ১৩ মে ২০২৩ শনিবার
চুয়াডাঙ্গায় একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার নবজাতকের মধ্যে দোয়েল, কোয়েল, ময়নাকে নিয়ে তাদের মা কল্পনা খাতুন বাড়ি ফিরেছেন। তবে ছোট্ট টিয়া জ্বর ও ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হওয়ায় তাকে জেলা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ৩ সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তাদের মা কল্পনা খাতুন।
চুয়াডাঙ্গার ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ৭ নম্বর শয্যায় নবজাতক টিয়াকে তার নানি হাজেরা বেগমের কোলে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। টিয়ার পায়ে ক্যানেলা লাগানো। নাক দিয়ে শরীরে যাচ্ছে অক্সিজেন। আলাপকালে হাজেরা বেগম বলেন, সকালে শিশু বিভাগের চিকিৎসক দেখে চিকিৎসা দিয়ে গেছেন। নার্সরা মাঝেমধ্যেই আসছেন খোঁজ নিতে।
জেলা হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরামর্শক আসাদুর রহমান খোকন বলেন, জ্বর, ঠাণ্ডাসহ ইনফেকশনে আক্রান্ত টিয়াকে সংকটাপন্ন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকালে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। নিবিড় চিকিৎসায় শুক্রবার সকাল থেকে সে অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত। তবে দোয়েল, কোয়েল ও ময়নার শারীরিক অবস্থা ভালো। এই শিশুদের সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে হলে অবশ্যই বাইরের লোকজনকে তাদের কাছে ভিড়তে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে ঘরের দরজা বন্ধ রাখতে হবে। তা না হলে এই শিশুরাও অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
গাইনি কনসালট্যান্ট আকলিমা খাতুন বলেন, আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালে অবস্থানকালে অতিরিক্ত দর্শনার্থীর কারণে চার কন্যাসন্তানের মধ্যে ছোট মেয়ে টিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে প্রসূতি মা কল্পনা খাতুন এবং তাঁর তিন সন্তানের অবস্থা ভালো থাকায় শুক্রবার দুপুরে তাদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ পর কল্পনা খাতুনকে রুটিন চেক করতে আসতে বলা হয়েছে।
এছাড়া শিশুসন্তানদের নিয়মিত টিকা দেওয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার বেসরকারি আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালে গাইনি কনসালট্যান্ট আকলিমা খাতুনের তত্ত্ববধানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একে একে চার কন্যাসন্তান জন্ম দেন দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. মাহবুল হকের স্ত্রী কল্পনা খাতুন।
খবর পেয়ে পরদিন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান চার সন্তানের নাম দেন দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া।
এএইচ