ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৮ ১৪৩১

হামলা জোরদারের পর বাখমুত যুদ্ধে ইউক্রেনের অগ্রগতির দাবী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ১৩ মে ২০২৩ শনিবার

ইউক্রেন শুক্রবার বলেছে, তারা ফ্রন্টলাইন শহর বাখমুতের কাছে বিস্তীর্ণ এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। রাশিয়া জোরালোভাবে ধরে নিয়েছিল যে, তারা ফ্রন্ট লাইনের সামনের বিস্তৃত এলাকায় কিয়েভের আক্রমণ প্রতিহত করেছে।

বাখমুতে মস্কোর আক্রমণের নেতৃত্বদানকারী ওয়াগনার ভাড়াটে গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন, রুশ সেনাবাহিনীকে পূর্ব ইউক্রেন শহরের চারপাশ থেকে ‘পলায়ন’ করার অভিযোগ করেছেন।

কিয়েভের বসন্তকালীন আক্রমণের পরিকল্পনা থেকে ধারণা করা হয়, যুদ্ধের গতি বৃদ্ধি পাবে, কয়েক মাস যুদ্ধে স্থিতিশীলতার পরে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পরস্পর বিরোধী প্রতিবেদনগুলো লড়াই বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।  

ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ব্রিটিশ সিদ্ধান্তকে মস্কো ‘ভয়ংকর শত্রুতা’ বলে নিন্দা করেছে।

কখন এবং কোথায় ইউক্রেন তার উচ্চ ক্ষমতার ক্ষেপণাস্ত্রের লড়াই শুরু করতে পারে সেটি এখন জল্পনা-কল্পনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমার জেলেনস্কি এই সপ্তাহের শুরুতে জোর দিয়ে বলেছেন, তার সেনাবাহিনীর প্রস্তুতির জন্য আরও সময় প্রয়োজন।

নতুন করে জোরালো লড়াই শুরু হওয়ার আশঙ্কায় বেইজিং নিজেকে শান্তিবাদী হিসাবে তুলে ধরার প্রচেষ্টা  হিসেবে দেশটি আগামী সপ্তাহে ইউরোপে বিশেষ দূত পাঠাবে বলে জানিয়েছে।

ইউক্রেন সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে ইউক্রেন, পোল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি এবং রাশিয়ায় সকল পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য উচ্চ পদস্থ কূটনীতিক লি হুইকে ইউরোপে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে চীন।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেইজিং বিশ্বের সংকট সমাধানে একটি অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে ইউক্রেন থেকে মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত নিজেকে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা করছে।

কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধে চীন নিজেকে একটি নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে উপস্থাপন করলেও পশ্চিমে মস্কোর আক্রমণের নিন্দা করতে অস্বীকার করার জন্য এটি সমালোচিত হয়েছে।

ইউক্রেন বলেছে, যুদ্ধক্ষেত্রে তার বাহিনী বাখমুতের কাছে দুই কিলোমিটার (প্রায় এক মাইল) অগ্রসর হয়েছে। এক বছরের বেশী সময় ধরে রুশ আগ্রাসনের মধ্যে বাখমুত নিয়ে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে।

বাখমুতে একসময় জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭০,০০০, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রুশ বাহিনীর ক্রমবর্ধমান হামলায় শহরটি প্রায় ৮০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।

সূত্র: বাসস
এমএম/