ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে ৫৫টি হোটেল-মোটেল আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:৫৯ পিএম, ১৩ মে ২০২৩ শনিবার

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেকাপনো হয়েছে। এ কারণে উপকূল অঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় দিতে কক্সবাজারের ৫৫টি হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষনা করেছে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেষ্ট হাউস মালিক সমিতি।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেষ্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি মো: আবুল কাসেম জানিয়েছেন, কক্সবাজারে দুর্যোগপূর্ণ সময়ের কথা বিবেচনা করে আমরা ৫৫ টি হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। এতে করে অন্তত অর্ধলাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।

এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে বাঁচতে টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের সকল হোটেল মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবু সুফিয়ান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা যেহেতু কক্সবাজার মুখী, সেহেতু কক্সবাজারসহ সেন্টমার্টিন দ্বীপ একটু ঝুঁকিতে রয়েছে। এজন্যই সেন্টমার্টিন দ্বীপের সকল হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। 
মো: আবু সুফিয়ান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার সংকেত ১০ নং বাড়ার সাথে সাথে জেলার উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে ।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে ৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯টি মেডিকেল টিম। দেড় শত মেট্টিক টন চাল, ৬.৯ মেট্রিক টন শুকনো খাবার, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন, ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১৯ হাজার নগদ টাকা মজুদ করা হয়েছে। একই সাথে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এমএম/